রাজশাহীর পুঠিয়ায় যত্রতত্র ভাবে প্রকাশ্যে হাট-বাজাররে ভেজাল সার ও বালাইনাষক কেনাবেচা হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ তুলেছেন। কৃষকদের অভিযোগ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের নজদারির অভাবে এবং বিশেষ সুবিধা গ্রহন করার জন্য ভেজাল সার,বালাইনাষক উৎপাদন ও বিক্রি করার সাহস পাঁচ্ছেন এক শ্রেনির অসাধু ব্যবসায়ীরা। উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত খুচরা এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিকট হতে সার বালাইনাষক কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে জমিতে ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে জমির উবর্রতা শক্তি হারাচ্ছে। আবার অর্থনীতিক ভাবে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত শিকার হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছে আটটি। এর মধ্যে পুঠিয়া সদর ইউপি ও পৌরসভা মিলে ২টি, শিলমাড়িয়া ইউপিতে বেশি ফসলী জমি থাকায় এখানে দু’টি ডিলার রয়েছে। আর বিএডিসি সার ডিলার রয়েছে পাঁচটি। ছয়টি ইউপি এলাকায় সাব-সার ডিলার খুচরা বিক্রেতা রয়েছে ৩৫ জন। এ ছাড়া বালাইনাষক ডিলার আছে প্রায় তিন শতাধিক মতো। দেখা গেছে, উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন এলাকায় কৃষি অফিসের যোগসাজসে নিয়ম ভর্হিভূত ভাবে বানেশ্বর বাজারে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ১২টি সার কেনাবেচার দোকান আছে। এ ছাড়া ভালুকগাছি,শিলমাড়িয়া,বেলপুকুর,জিউপাড়াসহ পুঠিয়া পৌর সদর এলাকায় গড়ে উঠেছে আরও একাধিক সার কেনাবেচার দোকান। বানেশ্বর এলাকার এক সাব-সার ডিলার অভিযোগ করে বলেন, বানেশ্বর এলাকায় আমরা মাত্র তিনজন সাব-সার ডিলার আছি। কিন্তু রাজনৈতিক দলের প্রভাব দেখায়ে প্রতিনিয়ত এই এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ সার কেনাবেচার দোকান। এ বিষয়ে বারবার কৃষি কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেওয়া পরও তিনি অদ্রবধি কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিআইসির এক সার ডিলার বলেন, কৃষি অফিসের তদারকির অভাবে এবং বিশেষ সুবিধা গ্রহন করার জন্য। কৃষি অফিসের কোনো বড় প্রোগ্রাম করতে হলে আমাদের প্রেনি মোতাকে টাকা তারপর অজ্ঞাত স্থান থেকে সার কিনে বাজার জাত করার ফলে সার ও বালাইনাষক ভেজালের জটিলতা বেশি দেখা দিয়েছে। আবার কৃষি অফিসের সঙ্গে বিশেষ সমঝোতা থাকায় পুঠিয়া সদর এলাকায় কয়েকজন ভেজাল সার ও বালাইনাশক হরমোন, জৈব, দস্তা, জীংক তৈরি করে বাজারজাত করছে। এদের কোনো বড় মেশিন কারখানায় নেই। এরা ঘরে বসে বিভিন্ন প্রকার সার বালাইনাষক তৈরি করছে। জানা গেছে, ঢাকার খামার বাড়ি হতে দুই/একটি তৈরির অনুমোদন নিয়ে একাধিক পণ্য বাজার জাত করছে। এলাকার বড় বড় সার বালাইনাষক ডিলারদের সঙ্গে চুক্তি করে ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে উঠেছে। তখন ডিলারা কৃষকদের বলছে এই সার ও বালাইনাষক ভালো কোম্পানির চেয়ে অনেক ভালো জমিতে কাজ করে। বানেশ্বর নামাজ গ্রামের কৃষক ইসকেনদার বলেন, ডিলারদের কথা শুনে ওষুধ দিয়ে জমির রোগ-বালাই যাচ্ছে না। অন্যদিকে ফসল ও জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। পালোপাড়া গ্রামের কৃষক জেহাদ উদ্দিন বলেন, কোথায় ভেজাল সার বালাইনাষক তৈরি হচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস তা জানে। কিন্তু টাকা ঘুষ নিয়ে কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহন করে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি মালটি ন্যাসনাল কোম্পানির উধবর্তন কর্মকর্তা বলেন,বাংলাদেশের ৬০% বালাইনাষক আমরা কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে থাকি। আমাদের কোম্পানি সরকারকে মোটা অংকের কর দিয়ে থাকেন। যে কোম্পানির মালিকরা সরকারকে কর দেয় না, ভূইফোর তাদের কথা কৃষি কর্মকর্তা শুনে। কারণ কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদেরকে উপঢোকন দেওয়া হয়। এজন্য উপজেলায় ভেজাল অবৈধ বালাইনাষকে ছয়লাভ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃমি রানী সরকার বলেন,আমার জানা মতে ভেজাল সার বালাইনাষক উপজেলায় কোথাও বিক্রি হয় না। আমরা মাঝেমধ্যে ডিলারদের সার চেক করে থাকি।