বর্তমানে আলুর বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কৃষকের হাত থেকে বিক্রি হওয়ার পর থেকেই বাড়ছে আলুর দাম। সাধারণত মার্চে কৃষকরা ফড়িয়া ও আড়তদারদের কাছে আলু বিক্রি করেন। এরপর জুলাইয়ে দাম বাড়তে শুরু করে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর নাগাদ তিন মাসে সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকে। আমাদের এই আজব দেশে সরকার যদি কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে সেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ডিম, সয়াবিন, চিনি, পেঁয়াজের পর এবার আলুর ক্ষেত্রেও তেমন চিত্র দেখা গেছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু বিক্রি হচ্ছিল ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে। এর তিন দিন পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যবসায়ীদের প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই সংকট দেখা দেয়। বাজারে আলুর দাম বাড়তি। নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার কারণেই সদাশয় সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে কাজের কাজ নয় বরং বিপরীত ফল ফলছে। কৃষকরা রেকর্ড ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদন করেছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বাজারে আলুর দাম কমছে না। ফলে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। আলুর এ রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে রীতিমতো ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। আলুর দাম বাড়ার পেছনে অসাধু সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে। সুযোগ বুঝে তারা বিনা কারণেই আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার আলুর দাম বেঁধে দেওয়ার পরও তা কেউ মানছে না। তাই সরকার থেকে তদারকি করা উচিত কারা কত আলু মজুদ করেছে এবং কারা অস্থিতিশীল করছে। এটা শক্তভাবে মনিটরিং না করলে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’ সরকারের উচিত হিমাগার থেকে নির্ধারিত দামে আলু ছাড়ের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করা অবশ্যই দরকার।