নিয়ামতপুরে বিষধর সাপের কামড়ে আবারো সামিউল ইসলাম সাদিক (১০) নামের এক প্রাথমিক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে ঘুমের মধ্যে তাকে সাপে কাটলে (চিতা বড়া) পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত সাদিক উপজেলার একরামুল শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও চুনিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আসাদুলের ছেলে। জানা যায়, রোববার সাদিক তার ভায়ের সাথে পাশ্ববর্তী মান্দা উপজেলার ঠাকুরমান্দা এলাকায় তার নানা বাড়ি বেড়াতে যায়। রাতে ঘুমের মধ্যে তাকে সাপে কাটে। এমন ঘটনায় তার স্বজনরা রাতেই তাকে প্রথমে নিয়ামতপুরের বটতলীতে এক ওঝার কাছে নিয়ে আসেন। সেখানে ঝাড়ফুঁকে কাজ না হলে পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তানোর উপজেলার তালন্দতে আরেক ওঝার কাছে। তখন সাদিকের অবস্থা সংকটাপন্ন। অত:পর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে রাতেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টার দিকে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে সাদিক। সাদিকের মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার স্কুলের (একরামুল শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষক নিশাদ বানু রত্না। এ নিয়ে গত ৩মাসে নিয়ামতপুরে সাপের কামড়ে মৃতের সংখ্যা দশক অতিক্রম করলো। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের তথ্য মতে এর সংখ্যা আট। এভাবে নিয়ামতপুরের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে একের পর এক বিষধর সাপের দংশনে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জনমনে ভিতীর সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০ আগস্ট ঘুমের মধ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় স্কুল ছাত্রী তৃষার। তারো কিছুদিন আগে রাতে ঘুমের মধ্যে পুস্তইল শাহাপুর মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়। এছাড়াও কিছু দিনের ব্যবধানে জিনারপুর ইকরা হাফিজিয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে রাতে ঘুমের মধ্যে সাপে কাটে চিতা বড়া সাপ। তারাও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।