মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার করায়, প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজানগর বাজার হতে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রধান সড়কে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার রাজনৈতিক, ইউপি সদস্য, গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় ৫ শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন এই মিছিলে। এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্যরা জানান, রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভালো মানুষ, আমাদের সুখে দুঃখে তিনি পাশে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদ আওতায় রাস্তা ঘাট নির্মাণসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমরা আবারো তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছি। বিরোধী পক্ষ এজন্য তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, নানা প্রকার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে হেয় করার চেস্টা করছে। তাই আজ আমরা এই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান জানান, মজিবর চেয়ারম্যানের বিরোধী পক্ষ যে অপপ্রচার করছে, গত রোববার কিছু লোকজন নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মিছিল করেছে এটা ঠিক না। মজিবর চেয়ারম্যান খারাপ লোক না। রাজানগর ইউপি মহিলা সদস্য শিল্পী জানান, আমাদের কাজের বরাদ্দ দেন চেয়ারম্যান এখানে কোন সমস্যা নাই, আমরা সঠিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু একটা পক্ষ মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে। রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান জানান, আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করি। এর আগেও আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। মানুষ আমাকে ভালোবেসে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী মীর মোমারফ হোসেন (মোশন) আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লেগে আছে, সুযোগ পেলে ক্ষতি করবে। একটা জমির মাপ মিমাংসা নিয়ে অপপ্রচার করছে। তার একটা সক্সঘবদ্ধ গ্রুপ আছে তাদেরকে নিয়ে সে আমার বিরুদ্ধে নানা বাজে মন্তব্য করছে যা মিথ্যা। গত রোববার আচমকা ৪০/ ৫০ জন লোক নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেছি। মোশারফের সাথে যারা সহযোগিতা করছে তারা হলো মামুন হোসেন, শহিদুল আমিন,এনামুল, রায়হান, আলভি মাদবর। সেইদিন জমি মাপে ঝামেলা করায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহিদুল মাদবর (আমিন) বলেন, গত শুক্রবার মেজর ফেরদৌসীর জমি আমি ও আরো ২ আমিন মাপ-ঝোপ করেছি। ৪৭ শতকের মধ্যে ৪৬ পাই। শেষে ৩ আমিন এক মত হয়ে চেয়ারম্যানকে জানাই। চেয়ারম্যান মজিবর আমার মা'কে তুলে আমাকে গালি দেয়। প্রতিবাদ করায় সে আমার গায়ে হাত তোলে, তার সাথে থাকা ১০/১২ জনের মধ্যে বেশির ভাগ লোক আমাকে মারধর করে, ২/৩ জন ছাড়িযে দেয়। সে একটা বদ মেজাজী লোক। গত রোববার আমি এলাকাবাসী নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করি এবং ইউএনও বরাবর স্বারক লিপি দেই। তাছাড়া নানা অপ কর্মে জড়িত এই চেয়ারম্যান। সে রাস্তার পাশে, বাজারে সরকারি জমিতে দোকান তুলতে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। সে তেঘরিয়া আড়িয়াল আবাসন নামে পার্টনার নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান করেছে। বালু দিয়ে ফসলী জমিগুলো নষ্ট করছে। ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জে আই চৌধুরী লিটন জানান, এই চেয়ারম্যানের অপকর্ম সাধারন মানুষসহ সকলে জানে। অনেকে ভয়ে প্রকাশ করে না। আপনারা এলাকায় গোপনে খবর নেন তার অপকর্মের শত শত তথ্য পাবেন।