নওগাঁর সাপাহারে একটি প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়ে পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ভোগ দখল নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন সজেদুল ইসলাম এর পরিবার। ভুক্তভোগী সাজেদুল ইসলামের এক অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে উপজেলার করলডাঙ্গা মৌজার ৭৬নং খতিয়ানের ৩৩নং দাগে ২.৫০ শতক জমির মধ্যে .০৭ শতক সম্পত্তির মালিক মরহুম মমির উদ্দীন সরকার তার দাদা শ্বশুর ছিলেন। তিনি ওই সম্পত্তি আর এস রেকর্ডীয় মালিক করল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মো: আবদুল খালেকের নিকট হতে ৩০/৩/১৯৭৬ইং তারিখে ৫৩১৬ নং খোশ কবলা দলিল মূলে ক্রয় করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করতে থাকেন। এমতাবস্থায় ওয়ারিশন সূত্রে মমির উদ্দীনের ছেলে মোহাম্মদ আলী ৮৪০/০৯-১০ নং নামজারি কেসে নিজ নামে খারিজ/নামজারি করেন। পরবর্তিতে বন্টক সূত্রে ওই জমি পুনরায় মোহাম্মাদ আলীর ছেলে আবু কাহার সিদ্দীক ও মেয়ে মোসা: শারমিন জাহান ২১৫২/২০-২১ নং কেসে নিজ নামে নাম জারি করে নিয়ে ভোগদখল করতে থাকেন। এরপর ওই সম্পত্তির মুল মালিক আবদুল খালেকের ওয়ারিশগণ ডাঃ মোঃ সারাফতে দিং এর নিকট বিভিন্ন দলিল মূলে মোট ২৯ শতক জমি বিক্রয় করেন যা তিনি ৮৬/০৬-০৭ নং নাম জারি করে তিনি ভোগদখলে রয়েছেন। পরবর্তীতে ওই দাগে আবদুল খালেক এর ওয়ারিশগন আরোও অতিরিক্ত ১৪শতক জমি প্রভাবশালী শাহবুদ্দীন ও জাহাঙ্গীর আলমের নিকট বিক্রয় করলে তারা তাদের প্রভাব খটিয়ে অনেক পূর্বের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত মোহাম্মাদ আলীর ছেলে মেয়ের জমি দখলে পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে তাদের বিভিন্ন হুমকী দামকীর দাপটে প্রকৃত মালিক গন সঠিক বিচারের দাবিতে বিভিন্ন জনের দারে দারে ঘুরছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীগণ প্রভাবশালী সাহাবুদ্দনি ও জাহাঙ্গীর আলমের নামীয় খারিজ বাতিলের জন্য স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা আরও জানান ওই সম্পত্তি তারা বিগত ১৯৭৬সাল থেকে ভোগ দখলে আছেন। প্রকৃত জমির মালিক (ওয়ারিশন সূত্রে) মোহাম্মাদ আলীর ছেলে আবু কাহার সিদ্দিক ও মেয়ে শারমিন জাহান প্রভাবশালীদের কবল থেকে মুক্তি পেতে প্রভাবশালী শাহাবুদ্দীন ও জাহাঙ্গীর আলমের নামীয় খারিজ/ নামজারী বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেক কামনা করেছেন।