বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ড্রাম ট্রাকের দাপটে রাস্তা- ঘাট বেহাল দশা হয়ে পরেছে। এছাড়াও পথচারীদের সব সময় দুর্ঘটনার আশন্কায় তটস্থ হয়ে থাকতে হচ্ছে,তারপরেও ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বগুড়া জেলা শহরে যাতায়াত করার জন্য দুইটি সড়ক রয়েছে। সড়ক দুইটির একটি হলো বগুড়ার চেলোপাড়া থেকে শুরু হয়ে গাবতলী নেপাতলী হাট ফুলবাড়ি হয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত।অপরটি হলো চেলোপাড়া থেকে শুরু হয়ে গাবতলী উপজেলার তরনী হাট জোড়গাছা হাট ও কুতুবপুর হয়ে সারিয়াকান্দিতে যাতায়াতের সড়ক।
এ দুটি সড়কে প্রায় ৫২ টি সেতু কালভার্ট রয়েছে। এর মধ্যে চেলোপাড়া থেকে শুরু হয়ে জোড়গাছা,কুতুবপুর, সারিয়াকান্দি সড়কে বগুড়া জেলার সবচেয়ে বড় সেতুটি হলো জোড়গাছায় বাঙালি নদীর ওপর।আর অপরটি হলো সারিয়াকান্দী প্রবেশের মুল সেতু বাঙ্গালী নদীর ওপর সারিয়াকান্দি সেতু।
এ সেতু গুলোর উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী বগুড়া শহরে যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও চেলোপাড়া থেকে শুরু হয়ে, গাবতলী হাটফুলবাড়ি হয়ে সারিয়াকান্দী উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত প্রধান সড়ক হিসেবে পরিচিত। সারিয়াকান্দি বাঙগালী নদীর সেতু সহ অন্যান্য নদীর উপর সেতু দিয়ে দৈনিক অসংখ্য যানবাহন সহ লক্ষাধিক লোকের যাতায়াত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি সড়কের ওপর দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বালু পরিবহনের নামে প্রভাবশালীদের রাতে দিনে ট্রাক, মিনি ট্রাক তো চলছেই তার সাথে ইদানীং নতুন সংযোজন হয়েছে ড্রাম ট্রাক।তারা এতটাই প্রভাবশালী যে সড়কে কোন নিয়ম নীতিই ও কর্তৃপক্ষকে থোড়াই কেয়ার করছেন।অবৈধ ভাবে চলছে, বালু পরিবহনের নামে শ' শ' ড্রাম ট্রাক দিন রাত অবিরাম। প্রত্যক্ষদর্শীর আরও জানান, এসব ১০/১২ চাকার ট্রাক প্রতিদিন চলছে রাত দিন বিরামহীন।
এতে করে বাঙ্গালী নদীর জোড়গাছা সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। সেতুটির উপরের ঢালাইয়ের অংশ সড়ে যাওয়ায় সেতুটির উপর একাধিক স্থানে খানখন্দর সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল ব্যাহত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফয়সাল করিম,রবিউল ইসলাম,ও শাহাদাৎ হোসেন বলেন,শুধু জোড় গাছা সেতুই নয়।সারিয়াকান্দির বাঙ্গালী সেতুর উপর ওইসব ড্রাম ট্রাক চলাচল করাই সবগুলো সেতুই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
অপরদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সড়কে যানবাহন সহ যাত্রীদের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় দিন-রাত এ রকম যান চলাচল করলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নিরব রয়েছে।
এব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমানউল্লাহ আমান বলেন,৬ বা ১০ চাকার ট্রাক বড় কথা ন,,বড় কথা ট্রাকের ওভার লোডিং।এরকম হলে সড়কের তো অবশ্যই ক্ষতি হয়। এটা রোধ করা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা জন্য আমরা বিভিন্ন সভায় এ কথা উপস্থাপন করে থাকি।এছাড়াও সড়কের বিভিন্ন স্হানে এ-সংক্রান্ত নোটিশ ও দেওয়া আছে।
এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, এরকম তো হওয়ার কথা না, খোজখবর নিয়ে দেখি, যদি ঘটনা সত্যি হয় তবে ব্যাবস্হা নিবো।