জেলার শৈলকুপা উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে আগাম জাতের কিছু রোপা আমন ধান কাটা শুরু হলেও পুরো কাটা-মাড়াই মৌসুম শুরু হবে আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ দিকে। তাই এই স্বপ্নের ফসল রোপা আমন ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন কৃষকরা। উপজেলার মাঠ ঘাট জুড়ে এখন আমন ধানের নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখ জুড়ানো কাঁচা-পাকা ধান এখন সোনালী রং ধারণ করতে শুরু করেছে। শৈলকূপা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এবার রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তাই উপজেলায় চলতি ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে ২৪ হাজার ৯শ২১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও আবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৯শ২১হেক্টর। এর মধ্যে রয়েছে উফসী জাতের বিনা ৭,বিনা ৮৭ বিনা ১৭,বিনা২২ বিনা ৮০ সহ ১৯ হাজার ৫শ ৬১ হেক্টর ও হাইব্রীড ৫ হাজার৩শ৬০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করেছে কৃষকরা। যার ৮৮ হাজার৪শ ৮৩ মেঃটন। এদিকে রোপা আমন ধানের চাষ সফল করতে কৃষি অফিসের সকল মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি অফিসাররা কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক সহ লিফলেট বিতরণ করছে বলে তারা জানান। উপজেলার ধাওড়া, হাটফাজিলপুর, ধলহরাচন্দ্র, কুশবাড়িয়া লাঙ্গল বাঁধ শেখপাড়া, দিগনগর সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ধান চাষে বেশি খরচ হয়েছে। কারণ সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় অতিরিক্ত সেচ সার ও কীটনাশক ওষুধ জমিতে ব্যবহার করা হয়েছে। তার পরও কেন যে উপসীজাতের ধানে ব্যাপক চিটা দেখা দিয়েছে। এদিকে উপসী ৭৫ জাতের ধান কৃষক বেশি চাষ করেছে কিন্তু ধানে ব্যাপক চিটা পড়ায়।কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ধলহরাচন্দ্র গ্রামের কৃষক পরিক্ষিত কুমার কুন্ড জানান তিনি ৫০শতক জমির ৭৫ জাতের ধান কেটে মারায় করেছেন তাতে ১৭মন ধান হয়েছে, খুব চিটা পরেছে। ধানে যে পরিমান চিটা পড়েছে তাতে যদি ধানী গ্লোড জাতের ধান হলে ৩০ মনের বেশি হতো। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের কিছু বিনা ১৭ ও ৭৫ জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে পুরো মাড়াই মৌসুম শুরু হবে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বলে জানায় কৃষি অফিস। তবে। স্বপ্নের ফসল রোপা আমন ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন কৃষকরা। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ জুড়ে এখন আমন ধানের নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখ জুড়ানো কাঁচা-পাকা ধান এখন সোনালী রং ধারণ করতে শুরু করেছে। উপজেলার কুশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, জমিতে থাকা আমন ধানের বাম্পার ফলন দেখে ঘাম ঝড়ানো কষ্ট ভুলে গেছি। ধাওড়া গ্রামের ধান চাষী আজাদ মাষ্টার জানান, এবার আমি প্রায়৫ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি ফলনও ভালো হবে আশা করি।তবে উপসী জাতের ধান বাদে ধানীগোল্ড জাতের ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে শৈলকূপা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান জানান, ধানে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকা বেশি দেখা দেওয়ার কারণে কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈটকসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। যাতে কৃষকরা ধান চাষে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে মাসে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আমি আশা করি।