বাজারের লাগাম টানতে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু রাজধানীসহ সারা দেশে নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করা সম্ভব হয়নি বরং সিন্ডিকেট সন্ত্রাসীদের কারসাজির কাছে ব্যর্থ হয়েছে বাজারব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম খুচরা পর্যারে ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। পেঁয়াজের দাম খুচরায় প্রতি কেজি ৬৪-৬৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। আর প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা বেঁধে দেওয়া হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকা। অর্থাৎ সরকারের আদেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভোক্তার পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতার বাড়তি দরেই পণ্য কিনতে হচ্ছে। কোনো পণ্যের আমদানিতে যতটা না দাম বাড়ছে, অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি। বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে কৃষিমন্ত্রীর ৮ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে। তিনি জানান, পেঁয়াজ, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। চেষ্টা করছেন নিয়ন্ত্রণ করার। তবে আমরা মনে করি, এ প্রবণতা কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না। যত দ্রুত সম্ভব এই সিন্ডিকেটের নৈরাজ্য বাঙ্গতে হবে। এই অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা অপরাধী, তাদের শক্ত হাতে দমন করা অতি জরুরি। কেননা- এটি করতে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই বাজারব্যবস্থাকে সিন্ডিকেট মুক্ত কেরতে হলে অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু দিন দিন অসাধু ব্যবসায়ীদের লোভ বাড়ছে, এমতাবস্থায় বাজার তদারকি সংস্থার উদ্দেশে বলতে চাই, নিত্যপণ্যের প্রতিটি বাজারে নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা করা হোক। সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে অসৎ ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি টিসিবিকে সক্রিয় করতে হবে। এগুলো করতে পারলেই কেবল বন্ধ হবে অতি মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্য। আর তা না পারলে সেটা বাজার তদারকি সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা বলে পরিগণিত হবে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠবে সংশ্লিষ্টদের সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে। সেক্ষেত্রে অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিতে হবে ব্যবস্থা। তাদের রুখতে পারলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রি করা যাবে।