রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট ডিগ্রী কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করাসহ আভ্যন্তরীণ আইন-শৃংখলা কাঠামো ভেঙ্গে পরায় চারজন কর্মচারীর নিয়োগের সকল কার্যক্রম বন্ধের আদেশ চেয়ে গত বৃহস্পতিবার জেলা রাজশাহীর মোহনপুর সহকারী জজ আদালতে নিয়োগ প্রত্যাশী ভুক্তভোগী মোহনপুর উপজেলার পারিলাডাঙ্গা গ্রামের সুদীপ্ত হালদার ও রায়ঘাটি গ্রামের মাসুদ রানা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
বিজ্ঞ আদালত কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক হেনা, শিক্ষক প্রতিনিধি ফেরদৌস আলী, বাছাই কমিটির প্রতিনিধি শহিদুজ্জামান শহীদ, সদস্য ফারুক আহমেদকে দশ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে পরবর্তি শুনানীর জন্য আগামী ১২ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশরহাট ডিগ্রী কলেজের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ক্ষমতার দাপটে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ মো.গিয়াস উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক হেনাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দিয়ে দুই জন ল্যাব সহকারি, একজন নিরাপত্তাকর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী কর্মচারী নিয়োগে ব্যপক বানিজ্যর পায়তারাসহ বিভিন্ন অয়িমের মাধ্যমে কলেজটিকে একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছেন। তাই নিয়োগ বন্ধের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।
কেশরহাট ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল হক হেনা বলেন, এখন পর্যন্ত আদালতের কোন নোটিশ আমি পায়নি। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পন্ন তথ্য সভাপতি মহোদয় ভাল জানেন।
কেশরহাট ডিগ্রী কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের ফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।