ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ছেলের আঘাত সইতে না পেরে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন মা রেবেকা বেগম। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তৈলকূপী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই এলাকার মৃত আদিল উদ্দীনের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে ফারুক হোসেন পারিবারিক কর্মকা- নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মা রেবেকা বেগমকে মারধর করে। অভিমানে রেবেকা বেগম হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। শুক্রবার সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এলাকার একটি সূত্র জানায়, মা রেবেকার স্বামী ২৫ বছর আগে মৃত্যু বরন করেন। দুঃখ কষ্টে বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করে ২টি সন্তানকে বড় করেছেন। মেয়েকে পাত্রস্ত করেছেন। বর্তমানে তিনি কচাতলায় ইট ভাটায় ভাত রান্নার কাজ করত। এ দিকে ছেলে ফারুক হোসেনকে মৃত মায়ের পাশে দেখা যায়নি।
নিহতের বোন ফেরদৌসি বলেন,বোন অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিল যে কারণে হারপিক খেয়েছে। শারিরিক যন্ত্রনা থেকে এমনটি করতে পারে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মাহবুবুর রহমান মৃত ব্যক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতলে প্রেরন করা হয়েছে।