খুলনার পাইকগাছায় একের পর এক পুকুরে ডুবে শিুর মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বুধবার সকাল ৯টায় উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের আলমতলাগ্রামে আড়াই বছরের শিশু তাছপিয়র মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির বাবা আলাউদ্দিন গাজী বলেন, সকালে আমি ধানমাড়াই করে বাড়ি আনি। আমার মেয়ে আমার পিছে পিছে ছিল। রাস্তায় কাঁদার কারণে ভ্যান রাস্তায় রেখে মাথায় করে ধান মাড়াই করা চাল বাড়িতে নিয়ে আসি। এ সময় কখন সে পুকুরে পড়ে যায় আমি জানতে পারেনি। চাল রেখে মেয়েকে খুঁজতে গেলে রাস্তার পাশে পুকুরে ভাসতে দেখি। এ সময় তাঁক পুকুর থেকে উঠিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুকসানা আফরোজ তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পানিতে ডুবে আড়াই বছরের শিশুর মৃত্যুতে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এরআগে গত ৫ অক্টোবর সকালে উপজেলার গদাইপুরের চরমোলাই গ্রামে নুরজাহান নামে (৪) বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে! নিহত শিশুর পিতার নাম নুরু গাজী। শিশুর পরিবার জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় নিহতের মা' রাফিজা ও নানী আনোয়ারা শ্রমিক হিসেবে কাজে যায়। এ সুযোগে শিশু নুরজাহা'ন বাড়ির পাশ্বে পুকুরের পাঁকা ঘাটে গিয়ে বসেন। ধারনা করা হচ্ছে একসময় অসাবধানতা বসত পা পিছলে সে পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয় রেজাউল ইসলাম জানান, সকাল ১০টার দিকে পথচারি এক শিশুকে পুকুরে ভাসতে দেখে চিৎকার দেয়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। এর দ্’ুদিন আগে ৩ অক্টোবর উপজেলার দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের মিঠুন সরদারের একমাত্র পুত্র আরিফুল সরদার (৫) পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়। তার পারিবার জানান, বাড়ির পাশে খেলা করার সময় পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় তার বন্ধুরা জানালে অচেতন অবস্থায় তার পিতা পুকুর থেকে তুলে নিয়ে আসে। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দ্রুত কপিলমুনি ভরত চন্দ্র সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে গত দশ দিনে তিন শিশু পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে।