কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়নের দক্ষিন রাহেলা গ্রামে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রঙ্গু মিয়ার ছেলে মোঃ শুকরান মিয়া (২৫) এর লাশ একটি আমগাছের উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ শনিবার একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছেন। এই খবর পাওয়ার পর শনিবার দুপুরে বাজিতপুর সার্কেলের এ.এস.পি সত্যজিৎ ঘোষ, বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, কৈলাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিয়ত আলী মিষ্টু, কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাইছার এ হাবিবসহ শত শত এলাকাবাসী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এলাকাবাসী ও থানাসূত্রে যানা গেছে, মোঃ শুকরান মিয়াকে এলাকার কথিত ৬/৭ জন লোক ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে আম গাছের মধ্যে ফাসিঁতে ঝুলিয়ে রেখে হত্যাকে আত্মহত্যা চালানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। গত দুই বছর আগে ঐ এলাকায় শফিউদ্দিন নামের একলোক সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়। এই খুনের ঘটনায় শফিউদ্দিনের লোকজন শুকরানকে মেরে ফেলার জন্য কয়েক বার ওত পেতে থাকে। এই ঘটনায় নিহত শুকরান ও তার আত্মীয়স্বজনদের অর্ধশতাধিক বাড়ী ভাংচুর করে খুন হওয়া শফিউদ্দিনের লোকজনেরা। নিহত শুকরানের পিতা আওয়ামী লীগ নেতা রঙ্গু মিয়া বলেন, তার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তিনি তাদের বিচার দাবি করেন। বাজিতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুকরানে মাথার বামপাশে একটি ক্ষত চিহ্নের আঘাত পাওয়া গেছে।