শরতের এই দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পূজা মন্ডপ গুলোতে চলছে শেষ প্রস্তুতি। চলছে প্রতিমায় রংয়ের কাজ। পূজার আর মাত্র ২দিন বাকী থাকায় বেড়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যস্ততা।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অসুরিক শক্তির বিনাশ করতে এই ধরাধামে আর্বিভুত হন। হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার ও গ্লনি দূর করতেই এই পূজার আয়োজন। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে মহাষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫দিন ব্যাপী এই দুর্গাৎসব।
উপজেলার পূজা মন্ডপ গুলো ঘুরে দেখা গেছে, মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমার রংয়ের কাজ করছেন শিল্পীরা। তাদের যেন দম ফুরানোর সময় নাই। সবার মধ্যেই যেন একটি অঘোষিত প্রতিযোগীতা। কোন মণ্ডপের কোন প্রতিমা কোন শিল্পীর কাজ সুন্দর হয়েছে। কে হবে সেরা শিল্পী ও সেরা পূজা মণ্ডপ।
কালাইয়া পুজা মন্ডপের শিল্পী শ্যামল পাল বলেন, খড়কুটো দিয়ে ব্যানা পাকিয়ে মাটির প্রলেপ দিয়ে প্রতিমার অয়োবয় তৈরী করি। এরপর মাটির প্রলেপ শুকিয়ে গেলে রংয়ের কাজ করে কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। কালাইয়া মদনমোহন জিউর আখড়া বাড়ি ও লক্ষ্মীনারয়ন মন্দির কালীবাড়ি পুজা মন্ডপসহ প্রায় মণ্ডপের রংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে।
জাতীয় পূজা উদযাপন কমিটির বাউফল উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক অতুল চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলায় মোট ৭৩ পূজা মন্ডপ। পটুয়াখালী জেলার মধ্যে বাউফলে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুজা হচ্ছে। এরইমধ্যে স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজের সহায়তায় সকল মন্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদাপোষাকে মন্ডপগুলোতে নজরদারি করছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, উপজেলার মন্ডপ গুলোর সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রতি মন্ডপে প্রয়োজনীয় পুলিশ ও আনসার দেওয়া হবে। এ ছাড়া মন্ডপ গুলো সার্বক্ষনিক মনিটরিং করার জন্য একটি টিম কাজ করবে। দর্শনার্থীরা যাতে নির্ভিগ্নে উৎসব পালন করতে পারে তার সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য দুস্কৃতিরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই দুর্গা পূজায় নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে পরে এবং ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক নানা গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসন যথেষ্ট সজাগ রয়েছে।
সেবাইত কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, এবছর পঞ্জিকিার তিথি অনুযায়ী, ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। ২৫ অক্টৈাবর দশমী পূজা শেষে বির্ষজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসব। এবার দেবি দুর্গার আগমন ও প্রস্থান ঘোটকে।