ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দিনাজপুরের হিলি রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ,আধুনিক যাত্রী ছাউনী ও স্টেশন মাস্টারসহ সকল কার্যক্রমের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ছাত্র সমাজ। এ সময় হিলি রেলওয়ে স্টেশনে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রকেট ট্রেন দাঁড় করিয়ে আন্দোলন করেন তারা। ফলে সকাল ১০ টা ৪৪ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত দিনাজপুর,রংপুর,লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের সারা দেশের সাথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। দেড় ঘন্টাব্যাপী পর রেলওয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে সারা দেশের সাথে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে হিলি হাকিমপুর নাগরিক কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজনে রেল স্টেশনে অনশন ধর্মঘট করে। এ সময় রেল অবরোধ কার্যক্রম শুরু করেন তারা। দেড় ঘন্টাব্যাপী আন্দোলনের পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তারা। জানা যায়, গত মাসের ১০ তারিখে রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন করা হলে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেও দাবি না মানায় বুধবার আবারো আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। দেড় ঘন্টা অবরোধের পর পূর্ণাঙ্গ স্টেশনের আশ্বাসে অবরোধটি তুলে নেওয়া হয়। রেল অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলী,বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুল আলম,তোফাজ্জল হোসেন,মিশর উদ্দিন সুজনসহ সর্বস্থতের মানুষ। হাকিমপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলী জানান, গত মাসের ১০ তারিখে আমরা সকল ট্রেনের দাবিতে রেললাইন অবরোধ করে রেখেছিলাম। আজও রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলাম। কিন্তু আমাদের দাবি না পুরন করলে আগামী ১৪ নভেম্বর আবারও রেলপথ অবরোধ করবো। রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের বাণিজ্য কর্মকর্তা একে এম নুরুল আলম আন্দোলনকারীদের বলেন, আগামী ১৪ ই নভেম্বর থেকে হিলি রেলওয়ে স্টেশন একটি পুর্ণাঙ্গ স্টেশনসহ সকল কার্যক্রম চালু করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে এখানে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।