গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নীলফামারীর সৈয়দপুরের বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দামই ৬০ টাকার উপরে কেজি। আর হুট করে বেড়েছে কমে যাওয়া পেঁয়াজের দাম। যা বাড়তির দিকেই রয়েছে। বুধবার সৈয়দপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকল প্রকার শাক-সবজির দাম উর্ধ্বমুখীর দিকে। সৈয়দপুর রেলওয়ে বাজারের ব্যবসায়ী জয়নুল হক বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তিমুখী। ব্যবসায়ী মাসুদ শেখ, ডিপজল, ভলু ও মোসলেম জানান কয়েক সপ্তাহ আগে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১০০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে। তবে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সংবাদে গত সপ্তাহে হুট করেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজের দামের বিষয়ে পোড়ারহাট ডাঙ্গা পাড়ার ব্যবসায়ী আইনুল হক বলেন, কিছুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। সেই পেঁয়াজের দাম হুট করে বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। বাছাই করা পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার পর পেঁয়াজের দাম আর কমেনি। সহসা দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে না। শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা। গাঁজর আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি। করল্লার কেজি ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি। পটলের দাম বেড়ে ৭০ টাকা কেজি হয়েছে। গত সপ্তাহের মতো বেগুন ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পিস। কাঁচামরিচের ঝাল আগের মতোই কড়া। ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকায়। সৈয়দপুর পৌর আধুনিক সবজি বাজারের ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, শীতের আগাম সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তিমুখী। পর্যায়ক্রমে সব সবজির দাম কমবে বলে মনে করেন তিনি। এদিকে শাক সবজীর দামও কম নয়। প্রতি কেজি পুঁই শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। পাট শাক ৩০ টাকা, লাউ শাক তিন ডাটা ৩০ টাকা।