চট্টগ্রামের হাটহাজারী সদর সাব-রেজিস্টার পারভিন আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। গত মঙ্গলবার দুদকের মামলায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারক এ কিউ এম নাসির উদ্দিন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে প্রাপ্ত সংবাদ প্রকাশ। দুদকের আইনজীবী লুৎফুর কিবরিয়া শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০২০ সালে সিলেট সদর সাব-রেজিস্টার এলাকাধীন একটি কোম্পানির নামে থাকা ১৫ একর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ব্যক্তি মালিকানা ও টিলা শ্রেণি দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ১২টি দলিল রেজিস্ট্রেশন করেন। তাতে সরকার ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ২২৯ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এনিয়ে কোম্পানির উপণ্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি দলিলদাতা ও সাব-রেজিস্ট্রার পারভিন আক্তারকে সহ ২২ জনকে আসামি করে সিলেট মহানগর বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন। তিনি আরও বলেন, আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই মামলায় সাব- রেজিস্ট্রার পারভীন আক্তার আত্মসমর্পণ করতে যান গত মঙ্গলবার। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ওই কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পূর্বে সাব-রেজিস্টার পারভিন আক্তার ওই বছরে ১৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী সাব-রেজিস্টার অফিসে যোগদান করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে গত ১৫ অক্টোবর, রোববার অফিস শেষে সাব-রেজিস্টার পারভিন আক্তার হাটহাজারী থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে সিলেট যান। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত পারভিন আকতারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।