নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬শত শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য ২৬জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন মাত্র ৫জন। বালিকা বিদ্যালয়টি জাতীয়ভাবে সরকারীকরণ করা হয় ১৯৮৫ সালে। সরকারীকরণের পর শিক্ষক সংখ্যা ৭জন থাকলেও ৩৩ বছর পর্যন্ত ৫জন শিক্ষক পাঠদান দিয়ে যাচ্ছেন। মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২২সনে স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজ হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য ১টি ৬তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে দেন।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ২৫০টি বসার বেঞ্চ থাকার কথা থাকলেও সেখানে মাত্র ১৫০টি বেঞ্চ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বসার বেঞ্চ না পেয়ে প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে গড়ে ১৫-২০জন অনুপস্থিত থাকে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে পড়ালেখার মান নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
১৯৮৫ সালে সাবেক আইনমন্ত্রী মরহুম ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ স্কুলটি সরকারীকরণ করেন। স্কুলের পুরাতন ভবনটি ঝরাজীর্ণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি থাকায় ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না বলে নতুন ভবনে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিন্তু সেখানে ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ১ বছর ফেরিয়ে গেলেও স্কুলের শিক্ষার্থীর বসার বেঞ্চ ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রীগুলো না দেওয়াতে পাঠদানরত ছাত্রীদের ও শিক্ষকদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাকসুদাহ সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্কুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক না থাকায় খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়েও পাঠদান করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, শিক্ষকের জন্য একাধিকবার পত্র-পত্রিকায় লেখালিখি হলেও আজ পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা কোন সুফল পাইনি।
এ বিষয়ে মাকসুদাহ সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল হক ভূইয়া বলেন, আমরা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংএ এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তিনি আরও বলেন, আমরা এ বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।