নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে আজকে বাংলাদেশে একটি সরকার পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে প্রত্যেক ধর্মের লোকজন নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করছে। মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সকলে নির্বিঘ্নে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আয়োজন করছে। অথচ ২০০১ সালে বাংলাদেশের মানুষ এভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারতো না। সে সময় বাংলা ভাই সৃষ্টি করা হয়েছিল। অসংখ্য মানুষ রক্তাক্ত হয়েছিল। ২০০১-২০০৬ সাল বাংলাদেশে নানান রকমের আতঙ্ক তৈরী করা হতো। ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনেক শংকার মধ্যে পালন করতে হতো। আজ সার্বজনীনভাবে আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা সম্ভব হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা এর সঠিক নেতৃত্বের কারণে। তিনি আরো বলেন, অত্যন্ত নিবীরভাবে আমাদেরকে এগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেন কোনভাবেই এই প্রতিক্রীয়াশীলরা কোন ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। আমাদেরকে বিচলিত করতে না পারে। আমাদের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কমিটি আছে। আমরা গ্রাম কমিটি করেছি। গ্রাম কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি, উপজেলা কমিটি আমাদের যার যেখানে আছেন তারা আপনারা আপনাদের দায়িত্বটা পালন করবেন। এটা আমার নির্দেশ নয়, এটা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব থাকবে, আমাদের সিভিলে গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন থাকবে, গ্রাম পুলিশ আছেন, আনসার বাহিনী আছেন, পূজা কমিটির লোকজন আছেন এবং যারা আয়োজনকারী আমি জানি আপনারা পূজা করতে পারেন না। কারণ আপনাদের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। পূজাটা যারা আমাদের অন্যান্য ভক্তরা আছে তারা যেন সঠিকভাবে সুন্দরভাবে প্রতিমা র্দশন করতে পারে, ভক্তি দিতে পারে, উপভোগ করতে পারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। আর সে কারণেই আমরা পূজার পরেই একটা পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান করবো। আমরা আশা করছি আমাদের শান্তিপূর্ণভাবেই পূজা উদযাপন হবে এবং পূজা উদযাপন শেষে এবার আমরা একটা বর্ণাঢ্য পূণর্মিলনী করবো। ইতিমধ্যেই আমরা সেটা নিয়ে একটা পরিকল্পনাও করেছি। শুক্রবার বিকেলে বিরল উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে উপজেলার ৯৭ টি পূজা মন্ডবে সরকারি অর্থ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ আফছানা কাওছার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, অফিসার ইনচার্জ গোলাম মাওলা শাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জগতপুর কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ সরকার। পরে প্রধান অতিথি বিরল কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দির ও কালিয়াগঞ্জ হাট বারোয়ারি দূর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন এবং ভক্তদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।