ফুলবাড়ীয়ায় ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম এর আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে চকরাধাকানাই মারকাজের হেড আমীর আবদুল খালেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আমীর মুফতী মুনীর উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের নারকীয় তান্ডবে গাজায় নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধসহ অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। যে সংখ্যা আরও দীর্ঘতম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সাথে বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। তবুও থামেনি ইসরায়েলি আগ্রাসন। যা আমাদের মুসলমানদের অন্তরকে প্রকম্পিত করে তুলছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সমর্থনে পশ্চিমা গোষ্ঠির সামরিক ও মানবিক সহায়তা পক্ষপাতদুষ্ট ও মানবতা বিরোধীর ইঙ্গিত বহন করছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিপ্লবী মুসলমানদের উপর ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত হামলা এবং নৃশংসতা যুদ্ধাপরাধের শামিল। তিনি আরও বলেন, মুসলিম দেশগুলোর পক্ষ থেকে সরকারিভাবে নিপীড়িত ফিলিস্তিনবাসীর প্রতি সমর্থন, সহমর্মিতা জানানো ও সাহায্য করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের এই দুঃসময়ে যারা পশ্চিমাদের ভয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে না, তাদেরকে অবশ্যই একদিন ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। মনে রাখবেন, ইতিহাস কিন্তু তাদেরকে কোনদিন ক্ষমা করবে না। এ সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে জানান, বাংলাদেশ সরকার সবসময় ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের পাশে ছিল এখনো আছে অদূর ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশা করছি ইনশাআল্লাহ। যারই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের জন্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রী পরিষদ সচিব ফিলিস্তিনিদের শান্তি কামনায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এ সময় নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে গণহত্যার বিচার দাবীর আহ্বান জানান ও বাংলাদেশ আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলামের আগামী ১,২ও ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ৩১ তম কেন্দ্রীয় ইজতেমা বাস্তবায়নে দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করেন। কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক আলীর পরিচালনায় ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ক্বারী আবদুল মজিদ খান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শহিদুল্লাহ, মজলিশে শুরা সদস্য নুরুল ইসলাম মন্ডল, আন্ধারিয়াপাড়া মারকাজের সহকারি আমীর ডা. গিয়াস উদ্দিন, আফাজ উদ্দিন, খন্ধকার মাহতাব উদ্দিন, মাওলানা তালেব উদ্দিন, ডা. লুৎফর রহমান, যুব তাবলীগের সভাপতি খাইরুল বাশার আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি হাফেজ মফিজুল ইসলাম, সেক্রেটারি হাফেজ কামরুল ইসলাম,আব্দুল হাই, ছাত্র তাবলীগের সভাপতি সাইদ বিন মুনীরসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।