নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ব্রীজের পাড় হতে চিলাহাটি বাজার হয়ে পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে যেনতেন ভাবে ছাঁদ ঢালাই করে পাকা স্থাপনা নির্মানের হিড়িক পড়েছে। এসব নির্মানকৃত ভবনের না আছে কোনপ্রকার প্লান, না আছে কতৃপক্ষের কোন অনুমোদন। জানা যায়, চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করার নিমিত্তে পাকা রাস্তা প্রসস্থ করার লক্ষে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের দপ্তর হতে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ব্রীজের পাড় হতে গোমনাতী বাজার এবং চিলাহাটি বাজার হয়ে ভাউলাগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের গত ২৪ সেপ্টেম্বর ৪ ধারায় নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় ওই জমির মালিকগন তড়িঘড়ি করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করছে। এসব স্থাপনা ভেঙে পরে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। সরেজমিন এলাকায় গেলে অনেকে অভিযোগ করে বলেন, স্থাপনা গুলোর ছাঁদ ঢালাইয়ে নামমাত্র রডের সাথে বাঁশ এবং কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক ঘরের ছাঁদ বাঁকা হয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও নির্মানকৃত ঘড়বাড়ী ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। নতুন করে স্থাপনা তৈরীর বিষয়ে একটি চক্র ভূমি মালিকদের সাথে চুক্তি করে স্থাপনা নির্মানে সকল অর্থ যোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ৪ ধারার নোটিশ পাওয়ার পর কোনো রকম স্থাপনা নির্মান করতে পারবেনা উল্লেখ থাকলেও কেউ তা মানছে না। নতুন করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে বামুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট জানান, আমার বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে একটি গোডাউন ঘর রয়েছে আমি সেটি সংস্কার করতেছি। এ ব্যাপারে বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান জানান, প্রশাসনের কতিপয় অসাধু ব্যাক্তির সহায়তায় তারা এমন কাজ করছে। তবে কর্মকর্তাদের সাথে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে যারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকার আশায় এরকম স্থাপনা নির্মান করছে তারা কোন টাকা পাবে না। এ ছাড়া ৪ ধারা নোটিশের ৩নং কলামে উল্লেখ রয়েছে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে জমির শ্রেণী পরিবর্তন, অবকাঠামো নির্মাণ করিবেন না। এরূপ পরিবর্তন বা অবকাঠামো পরিবর্তন লিপিবদ্ধ করা হইবে না এবং আপনি ইহার জন্য কোন ক্ষতিপূরন প্রাপ্ত হইবেন না। এ ব্যাপারে ৪ ধারায় নোটিশ প্রদানকারী সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদেও জানান, যে জমি অধিগ্রহণ করা হবে আমরা পূর্বেই তাদের জায়গার ছবি এবং ভিডিও করে রেখেছি। আমরা ছবি এবং ভিডিও দেখে পূর্বে যেটা ছিল সেভাবে ক্ষতি পূরণ দেয়া হবে।