নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও স্থানীয় অভিভাবকদের না জানিয়ে গোপনে বাণিজ্য করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে নিয়োগ পরীক্ষাটি সম্পন্ন না করে ও ফলাফল না দিয়েই নিয়োগ কমিটির সদস্যরা পালিয়ে যায়। জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত ছমির উদ্দিন আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২১ অক্টোবর শনিবার জমিদাতা ও স্থানীয়দের না জানিয়ে গোপনে পছন্দমত প্রার্থীদের নিকট মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ জয়নাল আবেদীন ও প্রধান শিক্ষক পুলিন চন্দ্র দাস এই নিয়োগ পরীক্ষাটি সমাপ্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় জমিদাতা ও স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয় তারা। স্থানীয়রা আন্দোলন শুরু করলে তরিঘরি করে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ পরীক্ষাটি সম্পন্ন করা হয়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে। এ বিষয়ে স্থানীয় আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা জমিদাতা ও স্থানীয় লোকেরা জানিনা আজকে নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। আমরা বিদ্যালয়ে বেশী পরিমান মোটরসাইকেল দেখতে পেয়ে সেখানে যাই এবং জানতে পারি নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। কোন পত্রিকায়, কোন সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তাও জানেন না এলাকার লোকজন। তাছাড়া কাকে নিয়োগ দেয়া হবে কত টাকার বিনিময়ে দেয়া হবে তাও রসহ্যময়। এলাকাবাসীর দাবি রেজা নামে একজন ওই স্কুলে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে শ্রম দিয়ে আসছেন। তাই রেজাকে ওই পদে বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেয়া হোক। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছি বিধি অনুযায়ী। জোরকরে কেউ যদি চাকুরী চায় তা কি দেয়া সম্ভব। তাদের লোককে চাকুরী না দেয়ায় অযথা তারা চিল্লাচিল্লি করে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। তাছাড়া নিয়োগ বাণিজ্যের যে অভিযোগ করছে তাও মিথ্যা। কেউ বলতে পারবে না নিয়োগের ব্যাপারে কারো কাছে কোন অর্থ নেয়া হয়েছে।