নাটোর নলডাঙ্গা থানার মির্জাপুর এলাকার হতে আবু রায়হান শাহ নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল অপহরণকারীরা। পরে রাজশাহীর পুঠিয়ায় আত্মীয়-স্বজনের বাধার মুখে পড়ে অপহরণকারীরা দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়েছে। এই ঘটনায় পুঠিয়া এলাকায় চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুঠিয়ার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের তাহেরপুর মোড়ের অটোরিকসার স্ট্যান্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত ব্যক্তির জামাই মেহেদী হাসান বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যার আগে প্রথমে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর লোক বলে পরিচয় দিয়ে গাড়িতে উঠতে বলেন। এরপর আমাদের সন্ধহো হলে শ্বশুর আবু রায়হান শাহ আত্মীয়স্বজন কয়েকজন মিলে পুঠিয়ার তাহেরপুর মোড়ে মাইক্রোবাস আটক করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তৎক্ষনিক জানালা দিয়ে হাত বাহির করে দুই রাউন্ড গুলি ছড়ি। গুলি বিকট শব্দে উপস্থিত আত্মীয়-স্বজনেরা পিছু হটে। এই সুযোগে অপহরণকারীরা গাড়িটি নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। নাটোর জেলার দিকে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আত্মীয়-স্বজনরা জানতে পারে অপহরণকারীরা আটককৃত ব্যক্তিকে পুঠিয়ার শেনভাগ এলাকার এক জনশূন্য স্থানে ফেলে পালিয়েছে। জানা গেছে, অপহরণ হওয়া ব্যক্তি নাটোর মাঝদিঘা এলাকার আবু কাসেম শাহর ছেলে আবু রায়হান শাহ সে একজন বড় ব্যবসায়ী। সে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার হাতে কব্জির মাঝখানে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। বাম পায়ের গিরা পর্যন্ত জখম হয়ে মাংস উঠে গেছে। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজনরা ওই স্থানে পৌঁছে তাকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৩১ নং ওয়ার্ডের অর্থ-সার্জারী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসাধীন আছেন। অপহরণ হওয়া ব্যক্তি আবু রায়হান শাহ বলেন, আমি মির্জাপুর বাজারে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দুজন ব্যক্তি এসে আমার নাম ঠিকানা পরিচয় জানতে চায়। পরে আমাকে দুইদিক থেকে শরীরে পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে আসে। আমার আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুঠিয়ায় আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। করলে অপহরণকারীরা নিজেকে বাচার জন্য দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। আমার ধারনা সন্ত্রাসীরা নাটোরের হবে। আমার কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। যাবার সময় আমাকে হুমকি দিয়ে চলে গেছে। এ বিষয়ে নাটোর নলডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানায়, আমার নলডাঙ্গা থানা এলাকায় অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) তদন্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি অপহরণকারীরা পুঠিয়ার সড়ক ব্যবহার করে আটককৃত ব্যক্তিকে নাটোর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। বাধাদানকারীরা মাইক্রোবাসটি কাচঁ ভেঙে ফেলেছে।