বগুড়ার গাবতলীতে নিখোঁজ হওয়ার পর নাজমুল হক (৩৩) নামের এক সিএনজি চালক যুবকের লাশ, তার বাড়ির থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানক্ষেত থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। ওসি বলছেন দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যাকরে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাহাটা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা মধ্যেপাড়া গ্রামে। এই ঘটনায় স্ত্রী জীবননেছা বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতদের আসামি করে সোমবার গাবতলী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। একাধিক সুত্রে জানাযায়, গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা উত্তরপাড়া গ্রামের ভ্যানগাড়ী চালক জহুরুল ইসলামের ছেলে সিএনজি চালক নাজমুল হক শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ী থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়, তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নাজমুলের বাবা-মা ও আত্বীয়-স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে কোথাও না পেয়ে শনিবার তার খোঁজে এলাকায় মাইকিং করে। রোববার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে হাতিবান্ধা চকবেড়া মাঠের মধ্যে বিলের পারে ধানক্ষেতে একটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন গাবতলী মডেল থানায় সংবাদ দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, নিখোঁজ হওয়া সিএনজি চালক নাজমুলের লাশ। নাজমুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও মুখে আঘাত করার কারণে রক্ত জমাট বেধে ছিল। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সোমবার লাশ মর্গে পাঠায়। যোগাযোগ করা হলে, গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকারের সাথে, তিনি জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা নাজমুলকে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে পুলিশ জানায়। হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে বিভিন্নভাবে পুলিশ তদন্তচালিয়ে যাচ্ছে, এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় নিহত নাজমুলের স্ত্রী জীবননেছা জুথি বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের আসামি করে সোমবার থানায় একটি হত্যা মামলা দিয়েছে বলে, ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার জানিয়েছন।