চলতি প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষো করে পাবনার সুজানগর সংলগ্ন পদ্মা নদীতে অবাধে মা ইলিশ শিকার করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে মাঝে মধ্যে মা ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাতে কোন ফল হচ্ছেনা। উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জানান, পদ্মা নদীর চরভবানীপুর, নিশ্চিন্তপুর, সাতবাড়ীয়া, ভাটপাড়া, রাইপুর, মালফিয়া, উদয়পুর, গোয়ারিয়া, ইন্দ্রোজিতপুর, কামারহাট এবং নাজিগঞ্জসহ বেশ কিছু পয়েন্ট ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সমুদ্র থেকে ঝাকে ঝাকে মা ইলিশ এসে ওই সকল পয়েন্টে আশ্রয় নেয়। আর এসুযোগে স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীরা অবাধে ওই সকল পয়েন্ট থেকে মা ইলিশ শিকার করে থাকে। পদ্মাপাড়ের নারুহাটি গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন অসাধু মৎস্যজীবীরা স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কখনও দুপুরে, কখনও সন্ধ্যা রাতে আবার কখনও ভোর রাতে মা ইলিশ শিকার করে প্রকাশ্যে স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করে। প্রতি কেজি মাঝারি সাইজের ইলিশ (৬থেকে ৭গ্রাম ওজন) ৯০০থেকে ১০০০টাকা এবং প্রতি কেজি ছোট ইলিশ (৪ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজন) ৭০০ থেকে ৮০০টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।। আবার কখনও কখনও মৎস্যজীবীরা ওই ইলিশ গ্রামে গ্রামে গিয়ে ফেরি করেও বিক্রি করছে বলেও প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায়। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নূর কাজমীর জামান খান বলেন মা ইলিশ রক্ষায় প্রায় প্রতিদিনই নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।