লেবাননে বাস্তুচ্যুত সাড়ে ১৯ হাজার

এফএনএস বিদেশ : : | প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর, ২০২৩, ০৪:২৭ এএম

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের জের ধরে লেবাননের সীমান্ত এলাকা থেকে অন্তত ১৯ হাজার ৬৪৬ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আইওএমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বিষয়টি জানায়। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক এজেন্সি আইওএম কর্মকর্তা বলেছেন, লেবাননে এমনিতেই পরিস্থিতি অবনতি শীল। তার ওপর এত বিপুল পরিমাণ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ায় তা আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লেবানন সীমান্তেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। লেবাননের যোদ্ধা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কয়েক দফা রকেট হামলা করেছে ইসরায়েলে। এর জবাবে লেবাননের ভেতরে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। দেশটির সঙ্গে সীমান্তের প্রায় ২০টি শহরের লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস রকেট হামলা চালায় ইসরাইলে। এর পরদিনই লেবানন সীমান্ত থেকে লোকজন সরে যেতে শুরু করেন। বেশির ভাগই লেবাননের দক্ষিণে সরে গেছেন। অন্যরা অন্যান্য এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। আইওএমের মুখপাত্র মোহাম্মদ আলি আবুনাজেলা বিবৃতিতে জানান, আন্তঃ সীমান্ত উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। হামাসের রকেট হামলার পর গাজায় বেপরোয়া ভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ৫০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই বেসামরিক। গাজায় হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লেবাননের দক্ষিণে যোদ্ধা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও ইসরায়েলকে টার্গেট করা বৃদ্ধি করেছে। জবাবে লেবাননের ভেতরে হামলা ও বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরাইল। এ অবস্থায় সীমান্তের দুই পাশের হাজার হাজার মানুষ নিজেদের দেশের ভেতরে সরে গেছে। আবুনাজেলা বলেন, এতে লেবাননের অবনতি শীল পরিস্থিতিতে সহায়ক হয়নি। এমনিতেই দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। সব শ্রেণির মানুষের মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাঁচ্ছে দারিদ্র্যের সংখ্যা। এ অবস্থায় মানুষ বাস্তুচ্যুত হলে তাতে বড় রকম চাপ পড়বে। উত্তরে উপকূলীয় শহর টাইরের আইন প্রণেতা ইনায়া ইজ্জেদিন বলেন, এসব মানুষ যেসব পরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। একইভাবে চাপ পড়েছে সরকারের ওপর। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে চলছে এই যুদ্ধ। এ ক্ষেত্রে জনগণের সামনে কোনো পথ খোলা নেই। প্রায় ৬ হাজার মানুষ শরণার্থীর মতো আশ্রয় নিয়েছেন টাইরেতে। তাদেরকে আশ্রয় দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে তিনটি স্কুল।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW