ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র কারণে পূর্ব সর্তকতা হিসেবে ঢাকার সদরঘাট থেকে সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে হঠাৎ করে লঞ্চ বন্ধের এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকে সদরঘাট এসে ফিরে যাচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার সদরঘাটে দেখা যায়, হাজারো যাত্রীর ভিড়। সবগুলো পন্টুন গেট বন্ধ করে দেওয়ায় তারা বাইরে অবস্থান করছেন। এ সময় অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বরিশালগামী যাত্রী শহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি ইমামতি করি। দুদিনের ছুটি নিয়েছি। হঠাৎ সদরঘাটে এসে দেখি লঞ্চ বন্ধ। যাত্রাবাড়ী থেকে পরিবার নিয়ে এসে এখন আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।
বরিশালগামী আরেক যাত্রী বলেন, বসুন্ধরা থেকে অনেক টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে সদরঘাট আসছি। এতদূর থেকে এসে দেখি লঞ্চ বন্ধ। আগে থেকে না জানিয়ে হয়রানির করা হচ্ছে আমাদের।
ভোলাগামী লঞ্চঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা বলেন, আগে থেকে মিডিয়ায় কোনো খবর দেওয়া হয়নি। লঞ্চ যে বন্ধ হবে এটা জানলে আমরা এতদূর থেকে আসতাম না। এখন কই যাবো। নিরুপায় হয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।
এদিকে সকালে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর উপকূলীয় অঞ্চলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
এরমধ্যে সকাল থেকে চাঁদপুরের লঞ্চ চলাচল করলেও বিকেল ৩টার পর সব অঞ্চলে লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান।