ভোলার দৌলতখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মানবিক ডাঃ আফতাব ইউসুফ রাজ'র উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্েেপর আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ওবায়দুল্লাহ রতন'র বাসভবনে এ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও ঢাকার স্কয়ার হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাঃ আফতাব ইউসুফ রাজ মেডিকেল ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে গ্রামীণ জনপদের অবহেলিত অসহায় মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় অর্থ সংকটের কারণে তারা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। অবহেলিত অসহায় এসব রোগী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে খুবই খুশি। ক্যাম্পে ৬মাস বয়সের অসুস্থ শিশু নাজনীনকে নিয়ে আসেন মা শারমিন বেগম। তিনি বলেন, তার অসুস্থ শিশু কন্যা দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডাজনিত ও পেটের পীড়া রোগে আক্রান্ত। অর্থের অভাবে অসুস্থ শিশুকে তিনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে পারেননি। লোকমুখে শুনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা নিতে এখানে এসেছেন। এর আগে ডাঃ আফতাব ইউসুফ রাজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে বোরহানউদ্দিনের কেন্দ্রীয় মন্দির, দৌলতখানের বালা বাড়ি মন্দির,, সৃষ্টিতলা মন্দির ও শ্রী শ্রী বাউজির কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন করেন। এর আগে তিনি দৌলতখান পৌর ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক নাজিমউদ্দীনের পিতার ও পৌরসভার বাসিন্দা সরওয়ার্দী মিয়ার কবর জিয়ারত জিয়ারত করেন। এ ছাড়া চরখলিফা আওয়ামী লীগ নেতা ইউছুফ মিয়ার ছেলের জানাজায় শরিক হন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি ওবায়দুল্লাহ রতন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বজলুর রহমান পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক, ভোলা জেলা নাগরিক সোসাইটির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিহাদ হোসেন উজ্জল, টবগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আবুল হোসেন, পক্ষিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির, দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা জাফরুল্লাহ রাবিনসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রফেসর ডাঃ আফতাব ইউসুফ রাজ বলেন, জাতির জনকের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেেেলর ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে গরীব মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমি বিগত ৪ বছর ধরে দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনের দুই উপজেলার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। করোনাকালেও মানুষের পাশে থেকে সেবা করেছি এবং ভবিষ্যতেও মানুষের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।