প্রায় দুই মাস আগে পিকনিকে উচ্চশব্দের গান-বাজনা বন্ধ করেছিলেন শওকত মাঝি। ওই ঘটনার জেরধরে তাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে আয়োজকরা। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী আমানতগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। শওকত মাঝি উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের শাহে আলম মাঝির ছেলে। একই গ্রামের এনায়েত ব্যাপারীর ছেলে বখতিয়ার ব্যাপারী লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শাহে আলম মাঝি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে শাহে আলম মাঝি বাদি হয়ে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।
শাহে আলম মাঝি জানান, প্রায় দুই মাস আগে এনায়েত বেপারীর ছেলে বখতিয়ার ব্যাপারী (১৯) বন্ধুদের নিয়ে এলাকায় পিকনিকের আয়োজন করেন। গভীর রাতে উচ্চশব্দের গান-বাজনা করায় তার ছেলে শওকত মাঝি, এলাকার দফাদার সাইদুর রহমানসহ ও স্থানীয় লোকজন গান বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখতিয়ার বেপারী লোকজন নিয়ে দফাদারকে মারধর করেছিলেন। পরে শওকত মাঝি ঢাকায় চলে যায়। এক সপ্তাহ আগে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় শওকত মাঝিকে আমানতগঞ্জ বাজারে পেয়ে বখতিয়ার ব্যাপারী লোকজন নিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। শওকতের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতেই মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় শওকত মাঝির বাবা শাহে আলম মাঝি বাদি হয়ে বখতিয়ার বেপারী, এনায়েত ব্যাপারী, রেজাউল হাওলাদারসহ ৮জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, শওকত মাঝিকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আসামি গ্রেপ্তারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।