নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। পৌরসভার প্রায় সকল রাস্তার বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা বিরাজ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কেন যেন সংস্কারে নিরব।
বর্তমানে রাস্তাগুলোর সংস্কার না হওয়ায় প্রত্যেক রাস্তা পরিনত হয়েছে খানাখন্দে। অনেকটা ছাল চামড়া ওঠে নিয়ে গিয়ে রাস্তাগুলো চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে শহরের শেরে বাংলা সড়ক, শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ডাঃ শামসুল হক সড়ক,বিচালীহাটি সড়কের অবস্থা করুন। ওই সকল ভাঙ্গা সড়কে প্রতিদিন চলাচল করছে হাজার হাজার অটোরিকশা, ভ্যান,সিএনজি এবং হালকা ও ভারী যানবাহন।
ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচলের ফলে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রাস্তায় ঝাকুনীর কারণে বাচ্চা প্রসবও করেছে এক নারীর।
এদিকে অটো চালক আলম,জাহাঙ্গীর, মফদুল জানান,ভাঙ্গা রাস্তায় যখন গাড়ী চালাই তখন এদিক ওদিক ওঠানামা করে। কোন কোন সময় অটো উলটে ঘটে দুর্ঘটনা। তবুও পেটের দায়ে আমাদেরকে অটো চালাতে হয়। অনেক সময় যাত্রীরা আমাদেরকে চড়, থাপ্পর মারে।
রিক্সা চালক রহিম,সাইদুল,শাহীন জানান, ভাঙ্গা রাস্তায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় কোন কোন সময় যাত্রীরা রিক্সা থেকে পড়ে যায়। কেটে যায় তাদের হাত, পা। তখন যাত্রীরা আমাদের মারে। গত শনিবার কিশোরগঞ্জের এক যাত্রী রিক্সায় ওঠে রেলওয়ে স্টেশনে যাচ্ছিল ট্রেন ধরতে। তিনি জয়পুরহাটি সরকারী কলেজের ছাত্র। পথে রিক্সা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন। তার হাতে সাতটি সেলাই পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় কয়েকজন অটোচালক তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়। গুরুতর আহতের কারণে সে আর পরীক্ষা দিতে পারেনি।
সৈয়দপুর বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ ইদ্রিস আলী জানান,শুধু শহরের রাস্তা নয়,মহল্লার কোন রাস্তাই ঠিক করা হয়নি। মেয়র দায়িত্ব নেয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শহরের কোন উন্নয়ন হয়নি।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, পোরসভার আয় হচ্ছে, ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে, নকশা অনুমোদনে মোটা অংকের টাকা নেয়া হচ্ছে, হাজার হাজার অটো রিক্সার লাইসেন্স ফি বাড়ানো হয়েছে, রিক্সার ফি বাড়ানো হয়েছে। এ আয় থেকে কোটি কোটি টাকা যায় কোথায়।
কেন পৌরবাসী দুর্ভোগ পোহাবে।
আওয়ামী লীগ নেতা সরকার কবীর উদ্দিন ইউনুস জানান,হরিলুট হচ্ছে পৌরসভায়। কোন প্রকার উন্নয়ন নেই। টেন্ডার দেয়া হয় নাম সর্বস্বহীন পত্রিকায়, তাও আবার গোপনে। এখানে করা হয় স্বজনপ্রীতি। অনেকটা চলে টেন্ডারবাজী।
তিনি বলেন, পৌরবাসি বর্ষায় ছিল পানিবন্দী। হাঁটু পানি ছিল প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। আর রাস্তা মনে হয় ছিল কোন ডোবা বা পুকুর।
সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার এখন অবসরে যাওয়ার সময় হয়েছে,তাই রাস্তা বা অন্য কোন বিষয়ে আমি কোন বলতে চাই না। কেন রাস্তাগুলোর কাজ হয় না তা মেয়র বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন,বর্ষাকাল শেষ হলে রাস্তার কাজ শুরু হবে।