বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম এ আদেশ দেন। এদিন দুপুরে উত্তরা পশ্চিম থানার নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটকের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহীদুল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে বুধবার বেলা ১১টার রাজধানীর উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে দিকে তাকে আটক করে পুলিশ। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টরে বিএনএস টাওয়ারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জামায়াত-শিবিরের বেশকিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী ৯ জনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা বুঝতে পেরে এই আসামিসহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তারা লাঠি দিয়ে পুলিশকে আঘাত করেন। তাদের নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেল ও লাঠির আঘাতে পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নিজের জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ফায়ার করলে জামায়াতে ইসলামি ও ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মুক্তি দাবি বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের: মতিউর রহমান আকন্দের মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ল’ইয়ার ফ্রন্টের একজন সদস্য মতিউর রহমান। তাকে তার বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তিনি অসুস্থ, আমরা তার মুক্তি চাই। একই সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুহসিন রশিদ বলেন, জামিন নিতে সুপ্রিম কোর্টে এলে এবং আইনজীবীদের চেম্বার থেকে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার অলিখিত কনভেনশন রয়েছে। তারপরও বিনা পরোয়ানায় নারায়ণগঞ্জের দুজন আইনজীবীকে চেম্বার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি মতিউর রহমান আকন্দের মুক্তির দাবি জানান। এ ছাড়া আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজলও মুক্তির দাবি জানান।