বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে অষ্টম শ্রেণি পডুয়া এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিবাহ পন্ড হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উপজেলার মালিয়া রাজাপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম শামিম বর ও কনে পক্ষকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। প্রাপ্ত বয়ষ্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার মুচলেকা নেয়া হয়। ইউএনও অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া রাজাপুর গ্রামের মৃত্য বাদশা হাওলাদারের মেয়ে ও জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মীম আক্তার (১৩) এর সাথে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের মোঃ সরোয়ার হাওলাদারের ছেলে মোঃ ইসা হাওলাদার (১৯) সাথে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম শামিম শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইকরাম হোসেনের সহযোগীতায় গত বুধবার (২৫ অক্টেবর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে কনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর মোঃ ইসা হাওলাদার ও কনের মা নাজমা বেগমকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড জরিমানা করে অনাদায়ে সাত দিনের জেল প্রদান করে। এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম শামিম উপজেলার সচেতন মহলকে বাল্য বিবাহ রোধে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার আহবান জানিয়ে বলেন, উপজেলায় বাল্যবিবাহ রোধে তার এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া গোপনে কোনো বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিস্ট্রারকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আস্বস্থ করেন।