কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭ জন। চালকের গাফিলতি নাকি নাশকতার মতো অন্য কোনো বিষয় রয়েছে কি না- সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
আজ বৃহস্পতিবার রেল ভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
নাশকতার বিষয় আসছে কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘নাশকতার কথা আমরা এজন্য বলছি যে দুর্ঘটনাস্থলে লাইনের কিছু হলো কি না। নাকি অন্যকিছু- সে বিষয়ে এখনো আমরা স্পষ্ট নয়। এর আগে ২০১৩-১৪ সালে আমরা দেখেছি ট্রেনের ওপর আঘাত এসেছে। ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, লাইনের স্ক্রু খুলে ফেলা হয়েছে, ট্রেনে ঢিল মারা হয়েছে। রেললাইনের ওপর নাশকতা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তদন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা নাশকতাসহ সব বিষয় সামনে রাখছি। এগুলোর ভিত্তিতেই তদন্ত হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তিনজনকে দায়ী করে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’
নূরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, ‘একটি ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে তিনজন যুক্ত থাকে। এদের একজন লোকোমাস্টার, একজন সহকারী লোকোমাস্টার এবং একজন গার্ড। ট্রাফিক বিভাগ থেকে গার্ডকে নিয়োজিত করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ভৈরবে রেলদুর্ঘটনায় যেসব যাত্রী মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবার প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা করে পাবেন। এ ছাড়া যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের চিকিৎসার সব খরচ পাবেন রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।’এর আগে গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন এগারো সিন্ধুর। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুই বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।