রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরেক দফা বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আমদানীকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। গত সপ্তাহেও রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা এবং আমদানীকৃত পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
এক বছরের বাজারদর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৯২ থেকে ১১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। গত বছরের অক্টোবরে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৮২ থেকে ১০০ শতাংশ বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি রসুন কেজিতে ১৪৪ থেকে ১৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সময়ের ব্যবধানে আমদানীকৃত রসুন ২৮ থেকে ৫৪ শতাংশ দাম বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত এক বছরের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলু কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ শতাংশ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
গতকাল কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে আমদানীকৃত পেঁয়াজের পাল্লা মানভেদে ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতি পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকা। দেশি রসুনের পাল্লা ৯৮০ থেকে এক হাজার টাকা এবং আমদানি করা রসুন ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে কারওয়ান বাজারের খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং আমদানীকৃত পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় দেশি রসুন প্রতি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা এবং আমদানীকৃত রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরায় আলু প্রতি কেজি ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ও রসুনের পাইকারি বিক্রেতা মো. কামরুল হাসান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কয়েক দিনের ব্যবধানে রসুনের দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একদিকে দেশি পেঁয়াজের সংকট, অন্যদিকে কিছুদিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহে টান পড়েছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে।’
কারওয়ান বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতা আবদুল মালেক বলেন, ‘মাত্র দুই দিন আগেও আমরা পাইকারিতে প্রতি পাল্লা আলু ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ (গতকাল) বিক্রি করতে হচ্ছে ২৭০ টাকায়। প্রতিদিনই বাজারে আলুর দাম বাড়ছে।’
রাজধানীর বাড্ডার মোদি দোকানি মো. আবু রায়হান বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ এখন প্রতি কেজি ১১৫ টাকা বিক্রি করলেও আমাদের লাভ থাকছে না। কারণ পরিবহন খরচসহ প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে ১১২ টাকার মতো। তবে আমদানীকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছি। পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু কিনতে আমাদের খরচ হচ্ছে ৫৪ টাকা, বিক্রি করছি ৬০ টাকা।’
এদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা সাত দিন বন্ধের পর গতাকল দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।