করোনা অতিমারির পর ১৯আগস্ট/২৩ইং দেশের সকল গণ পরিবহন চালু হলেও কুড়িগ্রামের একমাত্র ২য় শ্রেণির রমনা লোকাল ট্রেনটি অদ্যাবধি আলোর মুখ দেখেনি। তাই গণকমিটির আয়োজনে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত টগরাইহাট রেলওয়ে স্টেশনে স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা, রমনা লোকালের সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীগণ এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর সমন্বয়ে গঠিত রমনা লোকাল বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ উদ্যোগে বন্ধ হওয়া টগরাইহাট রেলওয়ে স্টেশনের অপারেশনাল কার্যক্রম চালুসহ রমনা লোকাল/রমনা কমিউটার পুনঃচালুকরণ এবং কুড়িগ্রামের জন্য কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের আসন সংখ্যা/ কোচ বৃদ্ধির দাবীতে বৃহস্পতিবার (২৬অক্টোবর) রাতে রংপুর এক্সপ্রেসের শাটল ট্রেন আটকিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে ওই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, বীরমুক্তিযোদ্ধা এবিএম বদরুল আলম মুকুল, আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক আলহাজ্ব মীর মোশাররফ হোসেন, মোহাম্মদ আলী মন্ডল (এটম), গণকমিটির সমন্বয়ক নাহিদ হাসান নলেজ, গণকমিটির আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক জাকির হোসেন স্বপন, সদস্য-সচিব শামসুজ্জামান সরকার (সুজা), সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ, ইউপি সদস্য বিপ্লব আলী প্রমূখ। বিক্ষোভ সমাবেশটি সার্বিকভাবে তত্বাবধান ও সঞ্চালন করেন গণকমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আবদুল কাদের। বক্তাগণ অনতিবিলম্বে দাবী বাস্তবায়ন না হলে লাগাতার দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষনা দেন। এছাড়াও বক্তাগণ রাত্রিকালীন একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তঃনগর ট্রেন চালুরও দাবী করেন।