নোয়াখালীর সেনবাগে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণ করে হরতাল সমর্থকদের রাস্তা থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই ধাওযা পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ফেনী-নোয়াখারী মহাসড়কের এমপি রোড় টু লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক মহিলা কলেজের মধ্যবর্তী স্থানের সড়কে। এ সময় হরতাল সমর্থক পিকেটারদের হামলায় ৩ পুলিশ আহত হয়েছে বলে দাবী করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিমুল হাসান রাজীব তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। তবে, তাৎক্ষনিক তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনী পুলিশ। এ সময় সন্দেহ জনক ভাবে একজনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ সড়কে থাকা গাছের গুড়ি দিয়ে ব্যারিকেটের দেওয়া গাছের গুড়ি সরিয়ে দিয়ে রাস্তা যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। হরতাল কারণে সামান্য কিছু সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে, দূর পাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
অপর দিকে হরতালে আগের রাতে শরিবার দিবাগত রোববার ভোব পৌনে ৩টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের সেনবাগের সেবারহাট বাজার অজ্ঞাত দুবৃত্তারা একটি বালুবাহী ট্রাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং সকালে কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব সহ অন্যন্য আইনশৃঙ্খা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
অপরদিকে রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী-২ আসনের এমপি ও সেনবাগ ঊপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোরশেদ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিকের নেতৃত্বে উপজেলার ছমির মুন্সিরহাট বাজারে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এছাড়াও শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার মহাসমাবেশে শেষে বাস যোগে সেনবাগে আসার পথে সেনবাগ পৌর শহর থেকে বিএনপির ১৩ নেতা কর্মী ও ছমির মুন্সির হাট বাজার থেকে জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক ও সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী মোক্তার হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে তাদেরকে নোয়াখালী বিচাররিক আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিন।