সাতক্ষীরায় কোথাও হরতাল পালন হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে পড়েনি কোনো প্রভাব। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই স্বাভাবিক রয়েছে শহরের জীবনযাত্রা। হরতালে জেলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করছে। জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আশাশুনি, শ্যামনগর, খ্লুনা ও যশোরসহ বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের কারণে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। দোকানপাট ব্যবসা বাণিজ্যের উপর হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা রয়েছে অন্যদিনের মতো স্বাভাবিকভাবে খোলা। এদিকে, হরতাল প্রত্যাখ্যান করে বাস চলাচল অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ। জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, জনবিরোধী এ হরতালে মালিক-শ্রমিকরা কখনো সাড়া দেবে না, তারা ঘৃণার সঙ্গে হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছেন। মালিক-শ্রমিকরা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও বলেন, সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা রোববারের হরতালের ব্যাপারে মালিক সমিতির এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সাতক্ষীরা-খুলনা, সাতক্ষীরা-যশোর এবং সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ-আশাশুনি রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ জানান, পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে জেলার কোনো সড়কে পিকেটিং হয়নি। যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।