হরতাল প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়ে ঝালকাঠিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিবের চেম্বারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় তাঁরা বাসার সমনে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে শহরের মহিলা কলেজ সড়কে সম্মুখের এ ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় ৩টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। হামলার পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ১৫ জনকে আটক করেছে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন অভিযোগ করেন, সকালে তিনি তার বাসভবনের নীচে আইনজীবী চেম্বারের কাজ শেষে আদালতে যান। কিছুক্ষণ পরেই জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে তাঁর আইনজীবী চেম্বারে হামলা চালায় ও চেম্বারের সামনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের বদলে তার চেম্বারের ভেতর থেকে বিএনপি নেতা জুবায়ের হোসেন, বিএনপির মিডিয়া সেলকর্মী আরিফ হোসেন ও বিএনপি কর্মী আইনজীবী মো. তুষারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে কয়েক ঘন্টা অবস্থান নিয়ে সরকারের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এদিকে হরতালের আগের রাতে ও হরতালের দিন সকালে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জেলার সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ১৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলে দলীয় সূত্রে জানাগেছে। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার ও নলছিটি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝালকাঠি সরদ থেকে আটক হওয়া বিএনপির ৭ কর্মী ও নলছিটি থেকে আটক হওয়া ১১ বিএনপির কর্মীকে পুর্বের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। দুপুরে আটককৃত ১৮জনকে আদালাতে পাঠালে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিলায় ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মনিরুজ্জাামান ও নলছিটি সিনিয়র জুডিশিলায় ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাবুবা শারমিন তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।