নওগাঁর মহাদেবপুরে হরতালের পক্ষে বিপক্ষে মিছিল করেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট ১৪ বিএনপি নেতাকে আটক করেছে। সকালে হরতালের সমর্থনে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার নান্নুর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় উপজেলা সদরের যানবাহন চলাচল, দোকান পাট বন্ধ ছিল। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদিউজ্জামান বদি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল চন্দ্র বাবু ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সহযোগি অধ্যাপক হাফিজুল হক বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মন্ডল, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল, যুবলীগ নেতা সাকলাইন মাহমুদ তরফদার রকি, কৃষকলীগ নেতা সুলতান সালাউদ্দিন সবুজ প্রমুখ এতে নেতৃত্ব দেন। সকাল ১০টার পর সকল দোকান পাট খোলা হয়। জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হয়। এদিকে ঢাকায় সমাবেশে সহিংসতার পর পুলিশ নওগাঁর মহাদেবপুরের ১৪ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে। শনিবার দিবাগত রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত তাদেরকে আটক করে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়া হয়। বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জেলা হাজতে পাঠান। আটকদের মধ্যে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ ভোরে শান্তাহার এলাকায় বাসে তল্লাশী চালিয়ে ৫ জনকে এবং মহাদেবপুর থানা পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে ও বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ জনকে ও হরতালে পিকেটিং করার সময় ৪ জনকে আটক করে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার নান্নু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ স্বপন, চেরাগপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন জুয়েল, হাতুড় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মোকসেদ আলী, মুক্তাদির হোসেন, বিএনপি নেতা ওলিউজ্জামান অলি, মাহবুব হোসেন, ভীমপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবদুল মজিদ, সদর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মেহেরাব হোসেন জিয়া, উত্তরগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো: পিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তায়জুল ইসলাম প্রমুখ। পুলিশের আটকের ভয়ে উপজেলার বেশিরভাগ বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নাশকতার মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।