নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ২৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা-পুলিশ। এরা হলেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর মোজাহিদ স্বপন (৫৭), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার জাফর ইকবাল হিরোক (৫৪), ফরিদপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জিয়াউর রহমান(৩৭),ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির আহবায়ক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম (৪৭),ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাজু আলী মোল্লা (২৮),যুবদল নেতা রিপন হোসেন(৩২),কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক বায়েজিদ বোস্তামি (২৩),আবু সাইদ(৫০),সাদ্দাম হোসেন(৩০),আব্দুর রাজ্জাক(৫০),শাহাদাত হোসেন(৩২),আব্দুল খালেক(৪৭),আবুল হাসান(৪৫),আবুল হোসেন (৩৪),সাহেব আলী (২৪),রাশিদুল ইসলাম(৩৭),মোকছেদুল ইসলাম(৩৩),আল আমিন(৩৩),ইসলাম(৫০),নুরুজ্জামাল(৫০),রমজান আলী(২৮),আব্দুল মোনায়েম(৫৫) ও নিহাজ অভি(২৩)।তাঁদের বাড়ি ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর ও চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।আজ রবিবার ভোর ৫ টার দিকে পৌরসভার শরৎনগর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়। পরে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদেরকে পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।এসময় আটক নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ১০ টি পেট্রোল বোমা ও লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানায়। এদিকে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার দাবি করেন,আটক নেতাকর্মীরা কোনো গোপন মিটিং করে নাশকতার পরিকল্পনা করেননি। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান। ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।