তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি তান্ডব চালিয়েছে। গতকাল সারাদেশে হরতাল ডেকেছে। সেই আগুন সন্ত্রাসের খেলায় ফিরে গেছে বিএনপি-জামাত। ১৩/১৪ সালে তারা গাড়ি চালকদের পুড়িয়ে মেরেছে।
গতকাল ডেমরায় বাসে ঘুমন্ত চালককে পুড়িয়ে মেরেছে। কি নৃশংস। আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করেছে। উস্কানিতে পা দেয়নি।
’
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে 'সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ৭ম খন্ড' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আমাদের নারী কর্মীদের মেরেছে। দেড় কিলোমিটার দূরে তান্ডবে যায়নি আওয়ামী লীগের কর্মীরা। মোহাম্মাদপুরে জনতার ধাওয়া খেয়ে মরেছে বিএনপিকর্মী।
সে গাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে মরেছে। সে ধৃষ্কৃতিকারী। তারা দেশকে অচল করতে চায়। সারাদেশে নৈরাজ্য ছড়িয়ে দিতে অবরোধ ডেকেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি প্রতিরোধ করতে।
যেভাবে চোর ডাকাত ধরে সেভাবে ধরে ধুষ্কৃতিকারীদের পুলিশে দিন। যারা জানমালের হানি করে তারা চোর ডাকাতের থেকেও খারাপ। কর্মীরা যাবার আগে নেতারা পালিয়েছে। বিরোধীদলে আমরা ছিলাম, পালায়নি। তারা সামনে আসতে ভয় পায়। তাই ভার্চুয়ালি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুদের বিবৃতি সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে। স্বাগত জানাই। হাসপাতালে, অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ও পুলিশ হত্যা করেছে। এটা নিয়ে পশ্চিমারা কি বলে? বিএনপি রাজনৈতিক দল নাই। তারা সন্ত্রাসী সংগঠনের রুপ ধারণ করেছে। প্রধানবিচারপতির বাসভবনে হামলা করে পুলিশ মারে তারা দল নয় তারা সন্ত্রাসী। তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাই হতে পারে না। যারা সংবিধান মানে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি চূড়ান্ত সন্ত্রাসী দলে রুপ নিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি বলছিল খালেদা জিয়াকে বিদেশে না নিলে রক্ষা করা যাবে না। বিদেশি চিকিৎসকরা আসার পর তার অবস্থা স্থিতিশীল। স্বস্তি প্রকাশ করছি এতে। বিদেশি চিকিৎসকদের আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এতে প্রমাণ হয় বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যকে রাজনৈতিক গুটি বানিয়েছে। তারা নোংরা রাজনীতি করেছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি।’