কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ৬নং গুরই ইউনিয়নটি ২০০৩ এবং ২০০৪ সনে কমপ্লেক্সটি স্থাপিত হয়। তবে এই ইউনিয়নটি কবে গঠিত হয়েছিল এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। এই ইউনিয়নটির মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার জনগণ বসবাস করে। আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার। ৮-১০ বছর ধরে ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের মধ্যের কক্ষের নিচের পাকাটির মধ্যে বড় বড় গর্ত রয়েছে। একই কক্ষের উপরের ছাদে প্লাস্টার খষে খষে পড়ছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যান কক্ষের ভিতরে চারপাশে ফাটল ধরেছে। একই সঙ্গে সচিবের কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙা থাকার কারণে বৃষ্টির সময় পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া আরও অনেক কাগজপত্র আছে। এই গুলো নষ্ট হয়ে গেছে বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে। গত রোববার গুরই ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ভাতাভোগী এলাকার লোকজন জানান, পরিষদের ভিতরের কক্ষ নিচের দিকে গর্ত হওয়ার কারণে অনেক সময় ভিজিডি ও ভিজিএফ ৫০ কেজি বস্তার চাউল ইঁদুর ও ভাতারি যেমন নষ্ট করে তেমনিভাবে বৃষ্টি হলে চাউল গুলো নষ্ট হয়ে যায়। ৬নং গুরই ইউপি চেয়ারম্যান মো: তোতা মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, অচল অবস্থার কারণে কাজ করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। এই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আল-আমিন বলেন, অত্র ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপর্ণ কাগজগুলো বৃষ্টি আসলেই ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই কক্ষের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শাকিলা পারভীন এই প্রতিবেদককে বলেন সংস্কারের জন্য চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।