জেঠা যুক্তরাজ্য যুবদল সহ-সভাপতি, চাচা সেনবাগ উপজেলা যুবদল নেতা এই অপরাধে তাদের ভাতিজা আশ্রাফুল আলমকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক ধরে দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্যকাজে বাঁধা দেওয়ার ঘটনার মামলার ১নম্বর আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আশ্রাফুলে পরিবার। রোববার সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে তাকে সেনবাগ উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আশ্রাফুলে বড়ভাই আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, কোন কারণ ছাড়াই শুধু তার জেঠা ও চাচা বিএনপি করে এই অপরাধে পুলিশ জোরপূর্বক বাড়ি থেকে আশ্রাফুলকে মারধর করে ধরে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার ৬মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে একটি সিসিটিভি ফুটেক সাংবাদিকদের সরবরাহ করে ভুক্তভোগীর পরিবার। সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেছে গ্রেপ্তারকৃত আশ্রাফুল শায়েস্তানগর দরগাবাড়ির পোলের ঘোড়ায় তাদের বাড়ির সামনে সড়কে বুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ সময় সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশা যোগে সেনবাগ থানার একদল পুলিশ শায়েস্তানগর দরগাবাড়ির পোলের ঘোড়ায় নামলে পুলিশ দেখে কয়েজন ছেলে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় আশ্রাফুল স্বাভাবিক নিয়মে হেটে নিজ বাড়িতে চলে যায়। যার একপর্যায়ে সেনবাগ থানার পুলিশ আশ্রাফুলকে তার বাড়ি থেকে টেনে-হেছড়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বাহিরে করে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। এ সময় ৭০উর্ধ্বো এক নারী আশ্রাফুলকে ছেড়ে দিয়ে পুলিশে পায়ে পড়ে অনেক আকুতি মিনতি করলেও তারা তার কোন ব্রুপক্ষেপ না করে ওই নারীকে মারধর করে একপর্যায়ে তার দিকে অস্ত্র তাক করে আশ্রাফুলকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে ওঠিয়ে থানা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাতে তাকে ১ নম্বার আসামি করে ও বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের ৪৫ নেতা কর্মীর নামে মামলা দিয়ে সোমবার দুপুরে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করে। জেঠা ও চাচা বিএনপি করার অপরাধে ভাতিজাকে মারধর করে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে মামলায় জড়ানোর ঘটনায় পুরো এলাকায় নিন্দার জড় বইছে। এলাকাবাসীর দাবী সিসিটিভি ফুটেক বিশ্লেষন করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন। সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, সে ওইস্থানে পিকেটিন করেছে এই কারণে পুলিশে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।