ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির মহাসমাবেশও হরতাল ঘিরে সৃষ্ট সংঘর্ষ ও হত্যকা-ের পরে বিএনপির অবরোধসহ চলমান নানা কর্মসূচি কেন্দ্র করে, ফরিদগঞ্জ আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় নৈরাজ্য, যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে পৌর বিএনপির আহ্বায়কসহ গত ৩দিনে ৮ জনকে গ্রেপ্তার তরেছে পুলিশ। এদিকে অবরোধ চলাকালে ফরিদগঞ্জের কোথাও বিএনপির নেতাকর্মীদের পিকিটিং করতে দেখা যায়নি। অভ্যন্তরিন পরিবহন গুলো চলাচল করলেও দূরপাল্লার কোন পরিবহন ফরিদগঞ্জ ছেড়ে কোথাও যেতে দেখা যায়নি। অবরোধদের প্রথম দিন উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ বিরোধী মিছিল করেছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিএনপি কর্তৃক আহূত রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফরিদগঞ্জ আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় নৈরাজ্য, যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করতে পারে এমন সন্দেহে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমানত গাজী (৪৮), ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্মহ্বায়ক আবদুল খালেক (৫০), বিএনপি সমর্থক পিংকু (৪৮), ইমরান হোসেন (৩৫), পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা (৫০), ছাত্রদলের সমর্থক রাশেদ (৩৫), এবং মহিউদ্দিন মুহিন(২৯) মঙ্গলবার রাতে তারেকসহ মোট ৮জনকে আটক করা হয়।
এব্যাপারে ওসি(তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল জানান, পৌর বিএনপির আহ্বায়কসহ ৬জনকে নাশকতা এবং বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলায় এবং একজনকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অহেতুক আটক ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে সকল নেতাকর্মীর নিঃস্বার্থ মুক্তি দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপি, ও পৌর বিএনপি।