খুলনার পাইকগাছায় বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দখলের মহোৎসব চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারি পেরিফেরি জায়গা ও ডিস্ট্রিক বোর্ডের রাস্তা বন্ধ করে প্রভাবশালী সুজিত সাধু ও অজয় সাধু আরসিসি পিলার দিয়ে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছে। এরআগে তালা উপজেলার মৃত শেখ আলাউদ্দিন গাজীর পুত্র প্রভাবশালী শেখ আনারুল ইসলাম কপিলমুনি ডি.বোর্ডের রাস্তÍার উপর উচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করায় জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ হয়েছে। খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়ক প্রায় সাড়ে তিন শত কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ চলমান। বাণিজ্যিক উপ-শহর কপিলমুনি বাজার অংশে কংক্রিটের রাস্তা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তার পাশে ড্রেন ও ফুটপাত সরকারি পেরিফেরি সহ ডি.বোর্ডের রাস্তার বন্ধ করে রাতারাতি ভবন নির্মাণ চলছে। প্রকাশ্যে সরকারি রাস্তা ও পেরিফেরি জায়গায় আরসিসি পিলার দিয়ে ভবন নির্মাণে বাজারের সাধারন ব্যবসায়ীরা হতবাক। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-আমিন জানতে পেরে কাজ বন্ধ করে দেন। একাধিক সূত্র বলছে নির্বাহী কর্মকর্তাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবারো রাতের আঁধারে আরসিসি পিলার দিয়ে দ্রুত ভবন নির্মাণ চলছে। পাইকগাছার নাছিরপুর ও কপিলমুনি মৌজার এসএ ২৭ ও ৬৬ খতিয়ানের মালিক চেয়ারম্যান খুলনা ডি.বোর্ড। পাইকগাছায় নাছিরপুর মৌজার এসএ ১৩৯ খতিয়ানে ৪১৭ দাগে জমির পরিমাণ .০১ শতক যা পেরিফেরি ভুক্ত সম্পত্তি। তিন শতক জমি দখল নিয়ে ভবন নির্মাণ চলছে। দখলকারী সুজিত সাধু জমি ক্রয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, কত রকমের মানুষ কত কথা বলে। ভাড়া নিয়েছে বললেও কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। বাজারের স্থানীয় ব্যসায়ী প্রদীপ অধিকারী বলেন, সরকারি সম্পত্তি ও রাস্তা দখল ও রহস্যজনক খুঁড়াখুড়ি বিষয় জানতে চাইলে প্রভাবশালী অজয় সাধু আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় থানায় জিডি করেছি। ঐ স্থানের সীমানা পিলার তুলে বিক্রি করা হয়েছে বলেও গুঞ্জন চলছে। রাস্তা অপর পাশে মনিসিং জুয়েলার্স দোকান মালিক মানিক লাল সিংহ বলেন, যেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে এখান দিয়ে ডিস্ট্রিক বোর্ডের রাস্তা ছিলো। ঐ জায়গা জীবন দে নামক এক ব্যক্তি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। কপিলমুনি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে ঘর উঁচু করা কথা বলে মৌখিক অনুমতি আনছে। তিনি সরকারি পেরিফেরি সম্পত্তির কথা স্বীকার করে আরো বলেন পাশে ডিস্ট্রিক বোর্ডের সম্পত্তি আছে। স্যারের আদেশে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ্দ আল-আমিন এ প্রতিনিধিকে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।