আমিন সাদী একজন যুব সংগঠক। পুরো নাম মোঃ আমিনুল হক সাদী। মানব কল্যাণে নিবেদিত এক দিপ্ত যুবক। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্যে, এই স্লোগানে বলিয়ান কিছু মানুষ শত বাধা বিপত্তি ও বাস্তবতার মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন যুব সমাজ তথা মানব সেবায়। আবার কিছু কিছু দুঃখী মানুষের দুঃখে পীড়ীত হন। এছাড়াও দুঃখী মানুষের দুঃখ দূর্দশা দূর করার জন্য সমাজ ও দেশের মাঝে রাখেন অনন্য অবদান। সে রকমই একজন যুবক মো: আমিনুল হক সাদী। যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের গোয়ালাপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা শেখ মো. নুরুল হক। যিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবি ছিলেন। সাদীর প্রথম প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ষোলমারা মইনুল ইসলাম বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ২০১৯ সালে গুরুদয়াল সরকারী কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে মাস্টার্স পাস করেন। যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী মাস্টার্স পড়াশোনা করে সরকারী বা বেসরকারী কোনো চাকুরী না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। তবে ছোট্টকাল থেকেই একজন উদ্যোক্তা ও সংগঠক ছিলেন। ফলে সমাজ কল্যাণে কাজে মনোযোগী হন। ২০০৪ সালে সারা দেশে যখন বন্যায় প্লাবিত। সেসময়ে সাদীর গ্রামে এমনকি তাদের বাড়িতেও পানি ওঠে যায়। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে সে শহরের মোল্লাপাড়ায় অবস্থিত যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিন মাসের আবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হয়ে যান। সেখানে গবাদী পশু, হাঁস মুরগী, মৎস্য চাষ, গরু মোটাতাজা করণ, কৃষি বিষয়ক ট্রেডে প্রশিক্ষণ পেয়ে উকসাহিত হন। সে প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন ‘সাদী সমন্বিত কৃষি খামার’। সে খামারের অধীনে কৃষি জমিতে নানা ফসল উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেন। তার দেখাদেখি আরও এলাকার বেকার যুব সমাজ উৎসাহিত হয়ে ওঠেন। অনেকেই খামার স্থাপন করে আজ স্বাবলম্বী হয়েছেন। সফলতার সোপান হয়ে ওঠে তাঁর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। প্রথম দফায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সাদী সমন্বিত কৃষি খামার’ গড়ে তোলেন। এই খামারের পুকুরে মাছ চাষ, নিজস্ব জমিতে কৃষি ফসল উৎপাদনে রেকর্ড করেন। শাক সবজি আবাদে নিবেদিত ব্যক্তি হিসেবে রয়েছে তাঁর স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট। সাদীর সবচে বড় সাফল্য হলো নিজেকে একজন সফল যুব সংগঠক হিসেবে গড়ে তোলা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে থেমে থাকেননি। প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান বাস্তবে কাজে লাগিয়ে একজন যুব সংগঠক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এখনও তিনি কাজ করে চলেছেন। এলাকার বেকার যুব সম্প্রদায়কে যুব উন্নয়ন পরিষদের ছায়াতলে সংগঠিত করে বিভিন্ন অফিস আদালতের মাধ্যমে বিশেষ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে সফল আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলেছেন কয়েক শতাধিক যুব ও যুব মহিলাকে। অনেকেই প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যুব উন্নয়ন থেকে ঋণ নিয়ে আজ সাফল্যের শিখরে আরোহণ করেছেন। যুবদেরকে সংগঠিত করতে সাদী বেকার জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ২০১০ সালের মার্চ মাসে গড়ে তোলেন “যুব উন্নয়ন পরিষদ’ নামে একটি যুব সংগঠন। এ সংগঠনটির মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে চলেছেন তিনি। এ সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার দারিদ্র বেকার জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই হাজার যুব ও যুব মহিলাকে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী দপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলেন। অনেকেই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে বিদেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বেকার যুবকরা প্রশিক্ষণ পেয়ে পোল্ট্রিসহ বিভিন্ন কর্মকা-ে নিজেদেরকে সফল হিসেবে গড়ে তোলেছেন। করোনাকালে স্বেচ্ছাসেবী যুব উন্নয়ন পরিষদের মাধ্যমে সংগঠনের উদ্যোগে মাস্ক স্যানিটাইজার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। দরিদ্রদেরকে আর্থিক সহায়তাসহ অনেক মানবিক কাজ করছেন। জেলার অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক ও যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে ও সম্পৃক্ত হয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৬ সালে সাদী নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদ নামে আরও একটি সংগঠন। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত হয়ে সংগঠনটির উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবামুলক কর্মকা-ের মাধ্যমে বিপুলভাবে প্রশংসিত হন এবং নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১১ সালে গড়ে তোলেন মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগার নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে জ্ঞান অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে চলেছে। চতুর্দিকে আলোর বিকিরণ ছড়িয়ে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালে এ পাঠাগারটি জেলার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট পাঠাগার হিসেবে জেলা প্রশাসন থেকে সম্মাননা পদক পেয়ে আরও সুনাম কুড়িয়েছেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মাধ্যমে মুজিববর্ষে একটি মুজিববর্ষ কর্ণার উপহার পেয়ে একে আরও সুষোভিত করে তোলেছে। ২০১৯ সালে সাদী গড়ে তোলেন কিশোরগঞ্জ আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি নামে আরও একটি সংগঠন। যার মাধ্যমে জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তির উন্নয়ন ও সংরক্ষণে অবদান রেখে যাচ্ছেন তিনি। ২০২১ সালে গড়ে তোলেন ‘বয়স্ক ও যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ’্র। এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বয়স্কদেরকে শিক্ষা দান ও বেকার যুব সম্প্রদায়কে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের সদস্যরাও আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠান সমূহের নিবন্ধন দিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর সাদীর কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করার সুযোগ করে দিয়েছে। এসব প্রশংসনীয় কার্যক্রমে সাদী পেয়েছেন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক সম্মাননা সনদ ও পুরস্কার। একজন সফল সংগঠক আমিনুল হক সাদীর প্রতিষ্ঠিত যুব সংগঠন মূলত যেসব বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে তা ’হলো যুব নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা, জীবিকার জন্য দক্ষতামূলক কার্যক্রম, নিরক্ষরতা দূরীকরণ,কারিগরি প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের নতুন ক্ষেত্র উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহারের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষ রোপন এবং পরিবেশ দূষন রোধে প্রচারণা, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা, স্থানীয় সরকারের সাথে মিলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়নে অবদান, ধূমপান ও মাধকবিরোধী কর্মকা-, সন্ত্রাস ও অন্যন্য সমাজবিরোধী কর্মকা- প্রতিরোধ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, এসটিডি এইডস সচেতনতা, স্যানিটেশন কার্যক্রমে অবদান, বায়োগ্যাস প্রকল্পে উদ্বুদ্ধকরণ, পরিষ্কার পচ্ছিন্নতা কার্যক্রম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশ গ্রহণ, বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ যৌতুক বিরোধী আন্দোলন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-,সমাজ উন্নয়নমুলক কাজে অবদান, দেশীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার, নিজস্ব শ্রম ও মেধার প্রয়োগে যুব নেতৃত্ব বিকাশে তিনি নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যয়ন পেয়ে এসব কাজের আরও স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনিস্টিউট সভার, ঢাকা থেকে যুব বিনিময় কর্মসূচি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে গত ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই ২০২২ ইং ৫ দিন ব্যাপী দেশের ৬৪ টি জেলা থেকে আগত যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে যুব মিনিময় কর্মসূচীতে কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে অংশগ্রহণকারী যুব সংগঠক হিসেবে অন্যতম। তিনি সেরাদশে তৃতীয় বক্তা হিসেবে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনিস্টিউট কর্তৃপক্ষ পুরস্কার প্রদান করেছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণ বিষয়ের বাস্তব অভিজ্ঞাতার আলোকে কিশোরগঞ্জ জেলা, উপজেলাসহ তৃনমূল পর্যায়ে বেকার যুবদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য আত্মকর্মী ও স্বাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছেন। আমিনুল হক সাদী বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি “ বাংলার মানুষ বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়কে আমাদের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলার যে ছেলে তার অতীত বংশধরদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে না সে ছেলে সত্যিকারের বাঙালি হতে পারে না” এর প্রতি আকৃষ্ঠ হয়ে ইতিহাস ঐতিহ্যর প্রতি মনোনিবেশ হই। গোপালগঞ্জে সফরে গিয়ে অন্যরকম অনুভূতি তৈরী হয়। পরে লিখেও ফেলি যেমন দেখেছি রাষ্ট্রপতির কিশোরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ নামে একটি বইও। বঙ্গবন্ধুৃ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উক্তি “একটা ডিগ্রি নিয়েই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে কীভাবে কিছু করা যায় ‘নিজে কাজ করব, আরও দশ জনকে চাকরি দেব, নিজে উদ্যোক্তা হব, নিজেই বস হব’। সে কথাটির প্রতি আকৃষ্ঠ হয়ে গুরুদয়াল সরকারী কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে মাস্টার্স পড়াশোনা করেও সরকারী চাকুরীর দিকে না তাকিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ‘সাদী সমন্বিত কৃষি খামার’ গড়ে তুলি। তিনি বলেন,আমার পথচলাটা ছিলো খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে। নানা প্রতিকূল অবস্থা অতিক্রম করে আজ এক যুগে পা দিয়েছে আমার যুব উন্নয়ন পরিষদটি। সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যাদের সহায়তা পেয়েছি তারা হলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঞা, উপপরিচালক ফারজানা পারভীন, বর্তমান উপপরিচালক তাহসীনা নাজনীন, সহকারী পরিচালক জেড এ সাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আবদুল কাদির ভূইয়া হিরো, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মো: নুরুজ্জামান, মো: শহীদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যক্তিবর্গ। আদর্শ যুব সংস্থার সভাপতি মোঃ মুহিবুল হাসান বলেন, আমরা ২০১৭ সালে এশটি যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠার কাজে সাদী ভাইয়ের কাছে গেলে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করে আমাদেরকে কৃতার্থ করেছেন। তিনি বেকার যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যুব নেতৃত্ব বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আমরা এই তারুণ্যদীপ্ত সফল যুব সংগঠকের আরও উন্নতি কামনা করি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিনন্দ ইউনিয়নের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর আলী বলেন, আমাদের জানা মতে তিনি ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতায় স্থানীয় ও দেশের জাতীয় অনেক সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন। বহু প্রতিভাধর যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীর কৃতিত্বের জন্য তাকে আমাদের সংগঠন ও পরিষদের পক্ষ হতে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠিত যুব সংগঠনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এতদাঞ্চলের বেকার জনগোষ্ঠীর আত্মসামাজিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছে। এই প্রতিভাধর সংগঠককে জাতীয়ভাবে পুরস্কার দেওয়া হলে আরও সে উৎসাহিত হতো। কিশোরগঞ্জ সদরের মহিনন্দের বাসিন্দা শ্রেষ্ঠ সফল আত্মকর্মী জাতীয় যুব পদক ২০১৩ প্রাপ্ত নুরুল আরেফিন লিংকন বলেন, যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী আমার ফার্ম নিয়ে অনেক প্রতিবেদন তৈরী করে এলাকার বেকার যুবদের মধ্যে পোল্ট্রি শিল্পের প্রসারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত যুব সংগঠনের প্রশিক্ষিত সদস্যরা আমার ফার্মে এসে হাতে কলমে শিক্ষা নিয়ে তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। দক্ষ যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা এখন সময়ের দাবী। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আবদুল কাদির ভূইয়া বলেন, যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীর প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন পরিষদকে আমরা নিবন্ধন দিয়েছি। তার সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় যুব দিবসসহ বিভিন্ন প্রশংসনীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক তাহসীনা নাজনীন বলেন, যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীর প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন পরিষদ নামের সংগঠনটি একাধিকবার পরিদর্শনে গিয়েছি। জেলায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে যুব কার্যক্রমে অবদান রাখায় তাকে শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে সনদ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও মুজিববর্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের যুব শক্তি বিষয়ে রচনা লিখে প্রথমে সদরে প্রথম হয়। পরে জেলা পর্যায়েও প্রথম স্থান লাভ করায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে তিন হাজার টাকার প্রাইজবন্ড ও ক্রেস্ট এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। আমিনুল হক সাদী কিশোরগঞ্জ তথা স্থানীয় বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের কাছে একজন অনুপ্রেরণার নাম। সাদীর সার্বিক সফলতা কামনা করেছেন স্থানীয়রা।