আর একদিন পরই উঠে যাচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ অভয়াশ্রমের নিষেধাজ্ঞা। ২ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে আবার নদীতে ইলিশ ধরতে পারবে জেলেরা। চলবে ইলিশ আড়তদারি ও ক্রয়- বিক্রয়। গত ১২ অক্টোবর থেকে শুরু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩। ২২ দিনের এ অভিযানে আইন না মেনে বহু জেলে ইলিশ নিধন করেছে। আবার শত শত জেলে পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে। খুইয়েছেন জাল-নৌকাও। ইলিশের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার দুইদিন আগে নদীতে অভিযানে নামেন প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চাঁদপুর জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাগণ। ৩০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কর্তৃক পরিচালিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩-এ মোবাইল কোর্ট/ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম,পিপিএম, চাঁদপুর নৌ-পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম মোসা, চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: গোলাম মেহেদী হাসান সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট অংশীজন। জলের উজ্জ্বল শস্য ইলিশ সংরক্ষণে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকার ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুমের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইলিশের নিরাপদ প্রজনন ও মা ইলিশ সংরক্ষণে সবার সচেতনতার পাশাপাশি এ সময় ইলিশ আহরণ, বিতরণ, বিপণন, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান,গত বছরের তুলনায় এবার ইলিশের প্রধান প্রজনন সংরক্ষণ অভিযান ভালো হয়েছে। আমরা বিরাট ভূমিকা নিয়েছি।যাতে মাই ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারে।যার যার যতটুকু ভূমিকা দরকার শতবার দেয়ার চেষ্টা করেছি। গতবারের তুলনায় এবার জেলে আটক হয়েছে অনেক বেশি। কেবল মোবাইলকোটের মাধ্যমে সাড়ে ৩'শ জেলেকে জেল দেওয়া হয়েছে। নৌ পুলিশের অভিযানে আরো অনেক জেলে জাল নৌকা সহ গ্রেপ্তার হয়। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। তিনি আশা করেন এবার জাটকার সংখ্যা বেশি হবে। জাটকা বড় হলে ইলিশের উৎপাদনও বাড়বে।