ভৈরব বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশের ছুড়া টিয়ার গ্যাসে আহত হয়ে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আশিক মিয়া (৫৫) নামে এক চা দোকানির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার স্থানীয় মদ্রাসায় জানাযা শেষে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আশিক মিয়া পৌর শহরের গাছতলাঘাট এলাকার মৃত কাদির মিয়ার ছেলে। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন কালে মঙ্গলবার (৩১অক্টোবর) সকাল ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আশিক মিয়া গাছতলাঘাট এলাকায় রাস্তার পাশে নিজ বাড়িতে চায়ে দোকান খোলে বসেন। হঠাৎ পুলিশ-বিএনপি সাথে আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘঠিত সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন। এ সময় অতিরিক্ত গ্যাসে আশিক মিয়া গুরুত্বর আহত হয়। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক আশিক মিয়াকে বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে ভর্তির পর মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৯টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের বোন জামাই সহিদ মিয়া কালের কণ্ঠকে জানান, আশিক মিয়া কোন দলের রাজনীতিই করে না। চায়ের দোকান নিয়েই সারাদিন পড়ে থাকেন। মঙ্গলবার সকাল আটটায় পুলিশের ছুড়া টিয়ার গ্যাসে আশিক মিয়া আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সকাল ১০টায় ডাক্তার তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আর্থিত সংকটের কারণে আশিক মিয়াকে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করায়। আশিক মিয়া হার্টের রোগী ছিলেন। টিয়ার গ্যাসে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। রাত নয়টায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। বুধবার স্থানীয় মদ্রাসায় জানাযা শেষে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ভৈরব কুলিয়ারচর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) দেলোয়ার হোসেন জানান, টিয়ার গ্যাসে মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়টি জানা নেই। তবে যদি এমন কোন ঘটনা হয়ে থাকে তা ডাক্তারের দেয়া রিপোর্টে জানা যাবে।