অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যুটি হত্যা না আত্মহত্যা; নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু, সেটির সুরাহা মৃত্যুর ২০ ঘণ্টা পরেও হলো না। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান জানালেন, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাতেই হিমুর মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে গেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সেটির ফলাফল পেতে সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে তিনি শুধু এটুকু নিশ্চিত হন, ‘হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি এখনও জানতে পারিনি। তবে এটুকু নিশ্চিত এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।’ এদিকে সংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর চ্যানেল আই চত্বরে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই জানানো হবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। এরপর লক্ষ্মীপুরে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। এর আগে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম জানান, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকাল ৪টা ৪৬ মিনিট নাগাদ হিমুর নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরার এক হাসপাতালে। তখন হিমুর সঙ্গে ছিলেন তার এক বন্ধু ও মিহির নামের একজন। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর উপস্থিত চিকিৎসকরা হিমুকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় হালকা দাগ দেখতে পাওয়ায় চিকিৎসকরা পুলিশ ডাকেন। পুলিশ ডাকাতে হিমুকে নিয়ে আসা সেই বন্ধু হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এরপর থেকে পুলিশ সেই বন্ধুকে খুঁজছে। শূন্য দশকের শুরুর দিকে মিডিয়ায় পা রাখেন এই সম্ভাবনাময়ী। দশকজুড়ে কাজ করেছেন অসংখ্য একক ও ধারাবাহিক নাটকে। সুনাম কামিয়েছেন সিনেমা করেও। বিশেষ করে ২০১১ সালে মোরশেদুল ইসলামের পরিচালনায় ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য দারুণ প্রশংসিত হন এ অভিনেত্রী। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বেশ ক’বছর ধরেই ক্রমশ অন্তরালে চলে যাচ্ছিলেন হোমায়রা হিমু।