নওগাঁর রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলায় পৃথকভাবে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত: ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ককটেল হামলার এ ঘটনায় পৃথক থানায় মোট ১০৫জনকে আসামি করে রাতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জরিত সন্দেহে বিএনপি নেতা মুকুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ দুলু বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও সর্মথকরা তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে বড়গাছা এলাকা থেকে রাণীনগর ফিরছিলেন। এ সময় পথি মধ্যে বিষ্ণপুর ব্রীজ এলাকায় পৌছলে তাদের উপর ককটেল হামলা করা হয়। হামলায় রাজাপুর গ্রামের জয়নাল সরদার (৫৫), পশ্চিম বালুভরা গ্রামের জুয়েল হোসেন (৩৬) ও ময়নুল হোসেন (৪২) আহত হয়। আহতদের রাতেই রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি দাবি করে বলেন, সারাদেশে চলমান বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধের অংশ হিসেবে এলাকাকে অস্থিতিশিল করতে তারা এহামলা করে থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন তিনি। এ ঘটনায় একটি মেসাটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অপর দিকে আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী প্রামানিক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধার পর অবরোধ বিরোধী শান্তি মিছিল নিয়ে দলীয় অফিসে ফিরছিলাম। এ সময় রেল গেট এলাকায় পৌছলে পিছন থেকে মিছিলে ককটেল হামলা চালায়। ওই হামলায় শাহিনুল ইসলাম (৪০) সহ দুইজন আহত হয়। আহতদের আত্রাই হাসপাতালে চিকি’সা দেয় হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, ককটেল হামলার ঘটনায় জয়নাল সরদার বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৮জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৩৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই উপজেলার খট্রেশ্বর গ্রামের আবুল মন্ডলের ছেলে মুকুল হোসেন (৩৮) কে জরিত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ককটেল হামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী প্রামানিক বাদী হয়ে ১২জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪০-৫০জনকে আসামি করে রাতেই মামলা দায়ের করেছেন। তবে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা।