ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা পশু হাসপাতালের ১১ পদের মধ্যে ৭ পদই শূন্য, ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
শৈলকূপা উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালটিতে জনবল সংকটের কারণে মুখ থুবরে পড়েছে পশু-পাখির চিকিৎসার এই হাসপাতালটি। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশু-পাখির সেবা নিতে আসা মানুষগুলো পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালটির ১১টি পদের মধ্যে ৭টি পদ দীর্ঘ ধরে শূন্য থাকলেও পদ পূরণে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার মামুন খান দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সরকারি কাজে বিভিন্ন সময় অফিসের বাইরে থাকলে তখন চিকিৎসা নিতে আসা পশু পাখির মালিকর হতাশ হয়ে পরে তাদের পশু পাখির চিকিৎসা নিয়ে।
বর্তমানে উপজেলা প্রাণীসম্পদ হাসপাতালটি অনেকটায় এলডিডিপি প্রজেক্টের চিকিৎসকদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছ। উপজেলার পশু-পাখিদের চিকিৎসা সেবা দিতে তাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দায়িত্বে থাকা ডাক্তার মোঃ মামুন খান(ভারপ্রাপ্ত) জানান, শৈলকূপা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালটিতে মঞ্জুরিকৃত ১১টি পদের মধ্যে ৭টি পদ দীর্ঘ ধরে শূন্য রয়েছে। সেবা কার্যক্রম চালু রাখতে এলডিডিপি প্রজেক্টের এলইও ডাক্তার রাকিবুল হাসান শাওন ও মাঠকর্মী সেলিম, রুপ,রেহেনা ও সাহানা খাতুন তাদের নিয়ে এ চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, শৈলকূপা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের শূন্য পদগুলো হচ্ছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্তকর্তা একজন, কম্পাউন্ডার একজন, উপসহকারি প্রাণিসম্পদ (সম্প্রসারণ) তিনজন, অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর একজনজন এবং ড্রেসার একজন।
সরেজমিনে গেলে চিকিৎসা নিতে আসা ধাওড়া গ্রামের মজনু হাটফাজিলপুর গ্রামের রুমন, রতিডাঙ্গা গ্রামের সাইদ হোসেন জানান, হাসপাতালে জনবল না থাকায় পশুর চিকিৎসা নিতে এসে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, শৈলকূপা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়ন মিলিয়ে কয়েক শতাধিক পশু-পাখি, হাঁস-মুরগির বয়লার ও খামার রয়েছে। তাছাড়া বহু কৃষকের রয়েছে গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি। বিশাল এই এলাকার গরু মালিকদের প্রতিদিন ৩০/৪০টি গরুকে প্রজনন বীজ দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে মাত্র দু’জন কর্মচারী এবং এলডিডিপি প্রজেক্টের লোকদের নিয়ে কোনভাবে কাজ চালানো হচ্ছে। তবে এ কাজে দ্রুত জনবল নিয়োগ না করা হলে সেবা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ মামুন খান জানান আমি লোকবল নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তবে নতুন জনবল নিয়োগ হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।